সরিষাবাড়ীতে লাইসেন্সবিহীন পোল্ট্রি ফিড কারখানায় তৈরি হচ্ছে হাঁস-মুরগি,গবাদিপশু ও মাছের মানহীন খাদ্যসামগ্রী

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » সরিষাবাড়ীতে লাইসেন্সবিহীন পোল্ট্রি ফিড কারখানায় তৈরি হচ্ছে হাঁস-মুরগি,গবাদিপশু ও মাছের মানহীন খাদ্যসামগ্রী
শুক্রবার, ২৬ আগস্ট ২০২২



---

জামালপুরে সরিষাবাড়ীতে লাইসেন্সবিহীন অবৈধ পোল্ট্রি ফিট কারখানায় তৈরি হচ্ছে হাঁস-মুরগি,গবাদিপশু ও মাছের মানহীন খাদ্যসামগ্রী এবং রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চলছে তাদের জমজমাট ব্যবসা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার ৩নং ডোয়াইল ইউনিয়নের মধ্যদিয়ে বাউসী হতে ধনবাড়ী কেন্দুয়া অভিগামী মেইন রোড়ের পাশেই, চরপাড়া মোড় সংলগ্ন এলাকায়, মেসার্স রেদওয়ান পোল্ট্রি ফিড নামক একটি কারখানায় অবাধে তৈরি করা হচ্ছে হাঁস-মুরগি, গবাদিপশু ও মাছের নিম্নমানের খাদ্য সামগ্রী। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন নামি-দামি ব্র্যান্ডের লোগো তারা বস্তার গায়ে ব্যবহার করে জমজমাট ব্যবসা করে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ।

প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মোঃ নুরুল ইসলামের অনুপুস্থিতিতে পরিচালনায় থাকায় মোঃ বাবুল মিয়া বাবু নিউজ টু নারায়ণগঞ্জ কে জানান,আমাদের প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোন শিক্ষা নেই। তারা বিভিন্ন কোম্পানিতে দীর্ঘদিন কাজ করে পূর্ব অভিজ্ঞতার আলোকে কাজ করছে। এ পর্যন্ত কখনো কোন সমস্যার সম্মুখীন হইনি। তবে খাদ্য তৈরীর ব্যাপারে খামারীরা যে যেভাবে চাহিদা দিচ্ছেন আমরা সেভাবেই তৈরি করে দিচ্ছি। প্রতিমাসে প্রায় এক-দেড়শ টন খাবার আমরা তৈরী করি। প্রতি টন খাবার তৈরী করতে ৪৫-৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। আমাদের একমাত্র ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া অন্য কোন কাগজপত্র নেই, বলে জানান তিনি।

এদিকে উক্ত প্রতিষ্ঠানে সরকারি কোন দপ্তরের পর্যবেক্ষণ ও তদারকি না থাকায় তারা খাদ্য তৈরীর উপকরণ ও পরিমাণ সম্পর্কে অনভিজ্ঞতার মধ্যদিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবহার করে তৈরী করে আসছে এসব পোল্ট্রি ফিড।

এতে করে এসব খাবার খেয়ে হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশুর গায়ে চাকা চাকা এলার্জি দেখা দিচ্ছে এবং উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি হয়ে মারা যাচ্ছে। এছাড়াও মাছের গায়ে পচন ধরেছে বলে খামারিদের অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপমা ফারিসা কে অবহিত করা হলে তিনি তাৎক্ষণিক প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেন।

পরে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জুলকাফর রাজিব উক্ত কারখানায় গিয়ে এর সত্যতা পান এবং কারখানার মালিক বাবুল মিয়া বৈধ কাগজপত্র না দেখাতে পেরে লিখিত অঙ্গীকারনামা দেন। তিনি আর কখনো লাইসেন্স ব্যতীত কারখানা চালাবেন না। এমন তথ্যই জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯:২২:৫৭   ৯৯ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


ঝিনাইদহে দুই বাসের সংঘর্ষ, আহত ১৫
সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন অনু কাপুর
নোয়াখালীতে সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাটের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় চালু হচ্ছে আর্জেন্টিনার দূতাবাস
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নাসিরের ঢাকা
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার কমান্ডারসহ গ্রেফতার ৫
বাজারে আসছে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৩ সিরিজের ফোন
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু
রবীন্দ্রনাথের গল্প ও সুর মানুষকে সঠিক পথ দেখিয়েছে - খাদ্যমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালকের শ্রদ্ধা

আর্কাইভ