বাঁশের সাঁকো একমাএই ভরসা, `৫ বছর আগে ভেঙে গেছে সেতু’

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » বাঁশের সাঁকো একমাএই ভরসা, `৫ বছর আগে ভেঙে গেছে সেতু’
শনিবার, ২০ আগস্ট ২০২২



---

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ভুল্লী নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি ২০১৭ সালের বন্যায় ভেঙে গেছে। পরে ভাঙা সেতুর পাশে স্থানীয়রা বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে চলাচল করছেন। এই সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন খানসাম ও নীলফামারী সদর উপজেলার প্রায় ১০-১৫ হাজারের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন। এমনকি কিছু দিন আগে বাঁশের সাঁকো থেকে পড়ে এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, খানসমা উপজেলার আলোকঝাড়ি ইউনিয়েনের ভুল্লী হাটের পাশে নদীর মাঝখানে ভেঙে পড়ে আছে সেতুটি। সেতুর পাশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিশাল আকারের বাঁশের সাঁকো। সাঁকোর ওপর দিয়ে চলাচল করছে সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, মোটরসাইকেল ও মালামালসহ ভ্যানগাড়ি।

স্থানীয়রা জানান, সেতুর পূর্বদিকে নীলফামারী সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের নীলফামারী কলেজ ও বিএম কলেজে পড়ে। সেতুর পশ্চিমে ভুল্লীর বাজার, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি হাফেজিয়া মাদরাসা রয়েছে। সেতুটি ভেঙে গেছে ২০১৭ সালে। এত দিনেও নতুন করে একটি সেতু নির্মাণ না হওয়ায় নীলফামারী সদর ও দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। বিশেষ করে কৃষি পণ্য আনা-নেওয়া ও ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল-কলেজে যাতায়াত করা খুবই কষ্টকর।

খানসামা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, সেতুটি ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে ভুল্লী হাটের পাশে ভুল্লী নদীর ওপরে ৫০ ফুট দৈর্ঘ্যে নির্মাণ করা হয়। ২০১৭ সালের বন্যায় ভেঙে যাওয়ার পরে সেখানে অস্থায়ী সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে।

নীলফামারী জেলার কুকড়াডাঙ্গা গ্রামের সহিদুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভুল্লী সেতু থেকে নীলফামারী শহরের দূরন্ত ১২ কিলোমিটার আর খানসামা উপজেলা শহর ৪ কিলোমিটার। সেতুর সঙ্গে লাগানো ভুল্লীবাজার। নদীর পূর্বপাড়ের বেশির ভাগ মানুষ হাটবাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় কেনাকাটায় খানসামায় যাতায়াত করেন। কিন্তু পাঁচ বছর থেকে সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় আমরা খুব সমস্যায় পড়েছি। প্রায় এখানে দুর্ঘটনা ঘটছে। কিছু দিন আগে সাঁকো থেকে পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী অরুন কুমার নামের এক শিক্ষকের মৃত্যুও হয়েছে।

খানসামা উপজেলার পূর্ববাসুলী গ্রামের বাসিন্দা সোহেল রানা ঢাকা পোস্টকে বলেন ,এই এলাকার অধিকাংশ মানুষ কৃষক। বিশেষ করে ধান ও সবজি উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। সেতু না থাকায় ভ্যানে এসব পন্য আনা নেওয়ায় সমস্যা হয়।

নীলফামারী কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মনির ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্ষার সময় পানি বেশি হলে সাঁকো ডুবে যায়। তখন কলেজ যেতে পারি না। সেতু অনেক দিন থেকে ভেঙে পড়ে এছ। দ্রুত নির্মাণ করা হলে আমরা শিক্ষার্থীরা ঠিকভাবে স্কুল-কলেজে যেতে পারব।

ভ্যানচালক আমিনুল ইসলাম ঢাক পোস্টকে বলেন, এই সেতু যে মেলা দিন থাকি ভাঙ্গে পড়ে তা সবাই জানে। দেখিও গেইছে অনেক বার। লেখালেখি ও মাপজোখ করি নিয়া যায়, কিন্তু ব্রিজ মেরামত হয় না। নতুন করি ব্রিজ বানায়ও না।

উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, সেতুটি নির্মাণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যকে ডিও লেটার দেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী মন্ত্রণালয়ে ২ বার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও বন্যা পুনর্বাসন প্রকল্প থেকে তালিকা চাওয়া হয়েছিল। সেই তালিকায় সেতুটি অন্তর্ভুক্ত করে পুনর্নির্মানের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাব পাস হলে দ্রুত নির্মাণকাজ শুরু করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯:১১:৩৩   ২৪৯ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


ঝিনাইদহে দুই বাসের সংঘর্ষ, আহত ১৫
সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন অনু কাপুর
নোয়াখালীতে সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাটের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় চালু হচ্ছে আর্জেন্টিনার দূতাবাস
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নাসিরের ঢাকা
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার কমান্ডারসহ গ্রেফতার ৫
বাজারে আসছে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৩ সিরিজের ফোন
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু
রবীন্দ্রনাথের গল্প ও সুর মানুষকে সঠিক পথ দেখিয়েছে - খাদ্যমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালকের শ্রদ্ধা

আর্কাইভ