কমেছে বিলাস পণ্য আমদানি, রাজস্ব ঘাটতির শঙ্কা

প্রথম পাতা » কৃষি ও বাণিজ্য » কমেছে বিলাস পণ্য আমদানি, রাজস্ব ঘাটতির শঙ্কা
বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট ২০২২



---

ডলার সংকট কাটানোর ক্ষেত্রে গাড়ি-টেলিভিশন-ফ্রিজ এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্রের মতো বিলাসবহুল পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে চট্টগ্রাম বন্দরে। জুনের তুলনায় জুলাই মাসে যেমন ঋণপত্র খোলার হার ৩১ শতাংশ কমেছে, তেমনি গত এক মাসে অন্তত ১৬ হাজার কনটেইনার আমদানি পণ্য কম এসেছে। তবে বিলাসবহুল পণ্য আমদানি কমে যাওয়ায় রাজস্ব আদায়ে ঘাটতির শঙ্কা তৈরি করতে পারে।

সরকারি এক সিদ্ধান্তে যেন পুরোপরি পাল্টে গেল চট্টগ্রাম বন্দর। এখন ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে বন্দরের প্রধান জেটিতে জাহাজ ভেড়ানোর সুযোগ হয়ে যাচ্ছে। এমন কি বহির্নোঙরে অপেক্ষার সময় একেবারে শূন্যের কোঠায় ঠেকেছে। এ ছাড়া পণ্য খালাস করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বন্দর ত্যাগ করছে বিদেশি জাহাজগুলো।

মূলত অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপনের ফলে কনটেইনার ওঠানামা সহজ হয়েছে। এ ছাড়া বিলাসবহুল পণ্যের ক্ষেত্রে সরকারের বিধিনিষেধের দরুণ আমদানির পরিমাণও কমেছে। চলতি বছরের জুন মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ১ লাখ ২৯ হাজার কনটেইনার এলেও জুলাই মাসে ১৬ হাজার কমে এসেছে ১ লাখ ১৪ হাজার।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, আমরা যদি চট্টগ্রাম বন্দরের হেন্ডলিং স্ট্যাটেসটিকস দেখি, তাহলে দেখা যায় যে কার্গো এবং জাহাজ যথাযথ থাকলেও কনটেইনারের সংখ্যা কিছুটা কম।

আমদানি কমে যাওয়ার বিষয়ে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইমাম মাহমুদ বিলু বলেন, ডলারের চড়া দামের কারণে আমদানি মূল্য বেড়ে গেছে। সে অনুযায়ী কিন্তু বাজারদর বাড়েনি। এর জন্য আমদানিকারকরা আমদানি করা কমিয়ে দিয়েছেন।

তবে পণ্য আসার পরিমাণ কমলেও জাহাজ আসার চিত্র আগের মতোই রয়েছে। জুন মাসে আমদানি পণ্য নিয়ে ৩৩৮টি জাহাজ এলেও জুলাই মাসে এসেছে ৩৪২টি। আমদানির ক্ষেত্রে সরকারিভাবে কঠিন শর্তারোপের কারণেই কনটেইনারে করে পণ্য কম আসছে। তবে এতে ডলার সংকট কিছুটা নিরসন হলেও রাজস্ব আদায়ে ঘাটতির শঙ্কা থেকে যাচ্ছে। সে সঙ্গে মেগা প্রকল্পে ব্যবহৃত পণ্যের পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে জটিলতা নিরসনের দাবি ব্যবসায়ীদের।

আমদানি জটিলতার বিষয়ে সাইফ মেরিটাইম লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার আবদুল্লাহ জহির বলেন, অনেক সময় দেখা যায়, আমদানিকারকরা ১০০ শতাংশ মার্জিন করে পণ্য আমদানি করতে পারছেন না। কারণ বিশ্ববাজারে ডলারের একটি সংকট বিরাজ করছে। এর কারণেই আমদানিকারকরা সঙ্গে সঙ্গে আমদানি করতে পারছেন না।

এ ক্ষেত্রে জটিলতা নিরসনের বিষয়ে শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ আরিফ হোসেন বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে দিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। সে ক্ষেত্রে রীতিনীতি সহজ করতে হবে।

চলতি আগস্ট মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে যেসব পণ্য আমদানি হচ্ছে, সেগুলোর এলসি খোলা হয়েছিল এপ্রিল ও মে মাসে। এতেই কমেছে আমদানি। এ ছাড়া বিলাসবহুল পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় জুলাই মাসে। সুতরাং, এখন থেকে সময় যত গড়াবে ততই আমদানি কমবে- এমনটিই বলছেন ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা।

এ বন্দর থেকে প্রতি বছর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আমদানি ও রফতানি পণ্যের ওপর গড়ে ৬০ হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় করে। পাশাপাশি পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের মাধ্যমে বন্দরের নিজস্ব আয় হয় অন্তত ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:০৮:০৩   ১১১ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

কৃষি ও বাণিজ্য’র আরও খবর


বাংলাদেশে সৌরবিদ্যুৎ সেচে সহযোগিতা করবে জার্মানি
‘ভোজ্যতেল আমদানি করতে বছরে ২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়’
কম খরচে বেশি লাভ সরিষার আবাদে
জয়পুরহাটে ৫০ হেক্টর জমিতে এবার তিলের চাষ হয়েছে
কুমিল্লায় রোপা আমনের মাঠে সবুজ হাসি
ইতিহাসের এই দিনে
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে মালয়েশিয়ায় ‘সিরাহ কনফারেন্স’ অনুষ্ঠিত
দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হোক, এটা চায়নি বিএনপি সরকার: শেখ হাসিনা
৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পাচ্ছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার
বাংলাদেশের পরিস্থিতি অবগত আছি : জাপানের রাষ্ট্রদূত

আর্কাইভ