জার্মানিতে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন

প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক » জার্মানিতে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন
মঙ্গলবার, ৯ আগস্ট ২০২২



---

“মহীয়সী বঙ্গমাতার চেতনা, অদম্য বাংলাদেশের প্রেরণা”-এই প্রতিপাদ্যে বার্লিনের বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য সহধর্মিণী, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন করা হয়।

দূতাবাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দূতাবাসে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, এনডিসি দূতাবাসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর সবার উপস্থিতিতে এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়, যেখানে দিবসটি উপলক্ষে প্রেরিত জাতীয় নেতাদের বাণীগুলো পাঠ করা হয় এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নির্মিত একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানের মূল বিষয় ছিল, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ধারাবাহিক ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে, একজন সহধর্মিণী ও রাজনৈতিক জীবনসঙ্গী হিসেবে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অনুকরণীয় অনন্য ভূমিকা।

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন শাশ্বত বাঙালি স্ত্রী ও বাঙালি মায়ের প্রতিচ্ছবি। বঙ্গবন্ধুর কিশোর বয়স থেকে শুরু করে আমৃত্যু তার পাশে থেকে বঙ্গমাতা তাকে সাহস ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী ও কর্মময় জীবনে তার পাশে ছায়া হয়ে থেকেছেন, তাকে সাহায্য সহায়তা করেছেন।

জাতির পিতার ‘বঙ্গবন্ধু’ হয়ে ওঠার পেছনে তার স্ত্রীর অবদান সবচেয়ে বেশি। সে জন্যই তিনি বঙ্গমাতা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু যেমন ওতপ্রোতভাবে জড়িত থেকে ইতিহাসের অংশ হয়েছেন, তেমনি শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব তার আন্দোলন-সংগ্রামের প্রত্যক্ষ অংশীদার, ভুক্তভোগী ও প্রেরণাদায়ী হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ধারাবাহিক ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনের সুখ-দুঃখের সাথী হয়েই শুধু নয়, মৃত্যুতেও সাথী হয়েছিলেন তার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিজ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই শাহাদতবরণ করেন তিনি। তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রতি বছর ০৮ আগস্ট বাংলাদেশসহ সব দূতাবাসে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন ও পদক প্রদানের সময়োপযোগী সিদ্ধান্তকে রাষ্ট্রদূত সাধুবাদ জানান।

রাষ্ট্রদূত অভিমত ব্যক্ত করেন যে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার সুযোগ্য কন্যা তার পিতা ও মাতার মতোই দৃঢ়তা ও সততা অবলম্বন করে প্রাজ্ঞতা ও সাহসের সঙ্গে দেশ পরিচালনা করছেন। পরে জাতির পিতা, তার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তার পরিবারের সব শহীদ ও জীবিত সদস্যদের জন্য, মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদ ও জাতীয় নেতাদের জন্য এবং বিশেষ করে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য মঙ্গল কামনা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯:২৮:৩৮   ৯৮ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আন্তর্জাতিক’র আরও খবর


মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু
ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা জোরদার করতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি আহ্বান ন্যাটো প্রধানের
নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল ইসরাইল
বিশ্বে করোনায় কমেছে মৃত্যু ও শনাক্ত
ইরানে ভূমিকম্পে নিহত ৩, আহত ৩ শতাধিক
পেরুতে বাস খাদে পড়ে নিহত ২৫
বিশ্বে করোনায় আরও ১০৬২ মৃত্যু, শনাক্ত বেড়েছে
কোরআন অবমাননা: সুইডেনকে সমর্থন না দেয়ার ঘোষণা তুরস্কের
ভারতের মহারাষ্ট্রে মাইক্রোবাস-ট্রাক সংঘর্ষে শিশুসহ নিহত ৯
ইউক্রেনকে ‘ভারী অস্ত্র’ সরবরাহ করতে যাচ্ছে ন্যাটো

আর্কাইভ