সিলেট পুলিশ লাইনসে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ ‘স্মৃতি ৭১’-এর উদ্বোধন

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » সিলেট পুলিশ লাইনসে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ ‘স্মৃতি ৭১’-এর উদ্বোধন
রবিবার, ৭ আগস্ট ২০২২



---

মুক্তিযুদ্ধে পাকবাহিনীর হাতে নৃশংসভাবে শহীদ পুলিশ সদস্য এবং নাম না জানা অসংখ্য শহীদের গণকবর সংরক্ষণ ও স্মরণে নির্মিত ‘স্মৃতি ৭১’ এর উদ্বোধন করা হয়েছে।

রোববার (৭ আগস্ট) দুপুর দেড়টায় নগরের রিকাবিবাজারে সিলেট জেলা পুলিশ লাইনসে এ স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন করেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি (উপ-মহাপরিদর্শক) মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ। এরপর পুলিশের ডিআইজি, মহানগর পুলিশ, জেলা পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা ও মহানগর কমান্ড, সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এবং জেলা প্রেস ক্লাব নেতারা স্মৃতি ৭১-এ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন জানান, দেশের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর সংরক্ষণ এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে জেলা পুলিশের উদ্যোগে এ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) রফিকুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মো. মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর পুলিশের পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযুদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যপক জাকির হোসেন প্রমুখ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মহান মুক্তিযুদ্ধে সিলেটে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে পুলিশসহ অনেকে শহীদ হন। তাদের মধ্যে বীর মুক্তিযােদ্ধাসহ অসংখ্য মানুষকে গণকবর দেওয়া হয় শহরের রিকাবিবাজার এলাকার পুলিশ লাইনসের ভেতর একটি ডোবায়। সেসব শহীদদের স্মরণে এ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে।

বীর মুক্তিযােদ্ধা ও স্থানীয় ব্যক্তিদের তথ্যমতে, মুক্তিযুদ্ধের পরপরই গণকবরটি চিহ্নিত করা হয়। রিকাবিবাজারের পার্শ্ববর্তী মুন্সিপাড়াসহ শহরের বিভিন্ন এলাকার বীর মুক্তিযােদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী হত্যা করে ফেলে রাখে। পরে এসব শহীদের মরদেহ এনে স্বজন ও পরিচিতজনরা পুলিশ লাইনসের ভেতরে একটি ডােবায় গণকবর দেন।

কতজনকে এখানে গণকবর দেওয়া হয়েছে, সে পরিসংখ্যান কোথাও সংরক্ষিত না থাকলেও গণকবর দেওয়া আটজন শহীদের নাম-তথ্য জানা গেছে। তারা ওইসময় পুলিশ বাহিনীতে চাকরিরত ছিলেন। তারা হলেন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবদুল লতিফ, হাবিলদার আবদুর রাজ্জাক, কনস্টেবল মােক্তার আলী, শহর আলী, আবদুস ছালাম, মাে. হানিফ ব্যাপারী, মনিরুজ্জামান ও পরিতােষ কুমার।

শহীদ পুলিশ সদস্যরা ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল জিন্দাবাজার এলাকার তৎকালীন ন্যাশনাল ব্যাংকের (বর্তমানে সােনালী ব্যাংক) দায়িত্ব পালন করছিলেন। সেদিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ব্যাংকের টাকা লুটের উদ্দেশ্যে পুলিশ সদস্যদের হত্যা করে। পরে ৬ এপ্রিল এসব শহীদকে পুলিশ লাইনসে গণকবর দেওয়া হয়। এর বাইরে শহরে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে শহীদ অনেককে এখানে কবর দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১:৪৯:৩৮   ১৮৭ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


ঝিনাইদহে দুই বাসের সংঘর্ষ, আহত ১৫
সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন অনু কাপুর
নোয়াখালীতে সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাটের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় চালু হচ্ছে আর্জেন্টিনার দূতাবাস
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নাসিরের ঢাকা
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার কমান্ডারসহ গ্রেফতার ৫
বাজারে আসছে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৩ সিরিজের ফোন
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু
রবীন্দ্রনাথের গল্প ও সুর মানুষকে সঠিক পথ দেখিয়েছে - খাদ্যমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালকের শ্রদ্ধা

আর্কাইভ