অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে, ভয় বিজিএমইএ সভাপতির

প্রথম পাতা » অর্থনীতি » অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে, ভয় বিজিএমইএ সভাপতির
শনিবার, ৬ আগস্ট ২০২২



---

বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমছে, বাংলাদেশে উল্টো বাড়ানো হয়েছে। এই অবস্থায় বিশ্ববাজারে টিকে থাকা আমাদের জন্য কস্টকর হবে। পুরোনো অর্ডারগুলোতেই প্রচুর লস হবে। অনেক কারখানা নতুন অর্ডার নিতে পারবে না। ফলে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে।

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পরিণতি কী হতে পারে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা পোস্টকে এসব কথা বলেন দেশের তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান।

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে কারখানায় গ্যাংস সংকট, সরকার নির্দেশিত লোডশেডিংয়ের কারণে বিদ্যুৎ থাকে না ৫-৬ ঘণ্টা। এ কারণে দিনে ৬ ঘণ্টার জন্য জেনারেটর ব্যবহার করতে হয়। জেনারেটরের ব্যবহার বাড়ায় বেশি জ্বালানি তেল ব্যবহার করতে হচ্ছে। এ অবস্থায় জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পোশাক খাতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ আমাদের হাতে প্রচুর অর্ডার রয়েছে। বড় অংকের লস দিয়ে এসব অর্ডারের পণ্য উৎপাদন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় দেশে পরিবহন ভাড়া বাড়বে, ট্রাক ভাড়া বাড়বে, জিনিসপত্রের দাম বাড়বে, বাড়বে মুদ্রাস্ফীতি। এসবের সাথে শ্রমিকদের বেতনও বাড়াতে হবে। লস থেকে বেঁচে থাকতে হলে অনেক কারখানা বন্ধ করা ছাড়া কেনো উপায় থাকবে না।

ফারুক হাসান বলেন, আমাদের অর্থনীতি টিকে আছে ফরেন এক্সচেঞ্জের ওপর। গত বছর যে রপ্তানি আয় হয়েছে তার ৮২ শতাংশই এসেছে পোশাক খাতের মাধ্যমে। এ কারণে এখনও মুদ্রাস্ফীতি আমাদের সেভাবে বাড়েনি। কিন্তু নতুন করে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির ফলে বিশ্ববাজারে আমাদের টিকে থাকা কষ্টকর হবে। দেশের স্বার্থে এই মুহূর্তে প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়ে হলেও তেলের দাম না বাড়ানো উচিৎ ছিল।

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় এ বছর যে পরিমাণ রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সেই টার্গেট অর্জন করা যাবে না। পুরোনো অর্ডারগুলোতেই অনেক লস হবে। নতুন করে প্রোডাকশনে যাওয়া যাবে না। ফলে রপ্তানিতে পিছিয়ে যাব।

রাত ১২টার পর জ্বালানি তেলের নতুন দাম কার্যকর হয়েছে। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ৩৪ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ টাকা, পেট্রোলের দাম ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা এবং অকটেনের দাম ৪৬ টাকা বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা করা হয়েছে।

পোশাক খাতে সরকারের এ সিদ্ধান্তের পরিণতি কেমন হতে পারে সে বিষয়ে তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় এ বছর যে পরিমাণ রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সেই টার্গেট অর্জন করা যাবে না। পুরোনো অর্ডারগুলোতেই অনেক লস হবে। নতুন করে প্রোডাকশনে যাওয়া যাবে না। ফলে রপ্তানিতে পিছিয়ে যাব।

একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে বাস ভাড়া-ট্রাক ভাড়া বাড়বে। বাড়বে জিনিসপত্রের দামও। ফলে লস কমাতে কারখানা বন্ধ করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। এ জন্য সরকারের উচিৎ চিন্তা-ভাবনা করে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করা।

পোশাক খাতের তরুণ উদ্যোক্তা মহিউদ্দিন রুবেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের সবকিছু ঊর্ধ্বমুখী। বিদ্যুতের লোড শেডিংয়ের ফলে উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। এখন আবার জ্বালানির দাম বাড়ায় বাজার প্রতিযোগিতায় তার প্রভাব পড়বেই, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

তিনি বলেন, এখন যে অর্ডারগুলো আছে এগুলোতো দুই-তিন মাস আগের অর্ডার নেওয়া। এ গুলোর খরচ তো বেশি পড়বেই। নতুন করে যে অর্ডার আসবে সেটার উৎপাদন ব্যয়ও বাড়বে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪:৫৯:২০   ১১৯ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অর্থনীতি’র আরও খবর


বাজারে শীতের সবজি থাকলেও নাগালে নেই
রমজানে পুরো মাসের পণ্য একসঙ্গে না কেনার অনুরোধ বাণিজ্যমন্ত্রীর
নতুন বছরের শুরুতেই কমলো এলপি গ্যাসের দাম
২০২২ সালের সালতামামিতে বিশ্ব অর্থনীতি
চাহিদামতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের নিশ্চয়তা দিয়েছে ভারত
রংপুরে আরএফএল গ্রুপের বাইসাইকেল কারখানার উদ্বোধন করলেন বাণিজ্যমন্ত্রী
জাপানের সঙ্গে এফটিএর যৌথ সমীক্ষা শুরু
নিয়মিত ভ্যাট প্রদানকারীদের হয়রানি করা বন্ধ করুন
রমজান সামনে রেখে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেবে সরকার: বাণিজ্যমন্ত্রী
উদ্যোক্তা রাজিয়া সুলতানার তৈরি পাটজাত পণ্য রফতানি হচ্ছে বিদেশে

আর্কাইভ