মহাকাশ থেকে খসে পড়ছে চীনা রকেট, ধোঁয়াশায় বিজ্ঞানীরা

প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক » মহাকাশ থেকে খসে পড়ছে চীনা রকেট, ধোঁয়াশায় বিজ্ঞানীরা
রবিবার, ৩১ জুলাই ২০২২



---

ভারত মহাসাগরের ওপর দিয়ে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে একটি চীনা রকেট। শনিবার (৩০ জুলাই) এমন তথ্য দিয়ে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলছে, এ নিয়ে বেইজিংয়ের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য মিলছে না। কিন্তু ধ্বংসাবশেষটি কোথায় গিয়ে পড়বে, সে সম্পর্কে পরিষ্কার তথ্য জানা দরকার।

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ কমান্ড জানিয়েছে, নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় শনিবার দুপুর পৌনে ১টায় ভারত মহাসাগরের ওপর দিয়ে পৃথিবীতে প্রবেশ করেছে দ্য লং মার্চ ৫বি নামের রকেটটি। কিন্তু পুনঃপ্রবেশের কারিগরি বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ার ক্ষতিকর দিকগুলোর প্রভাব নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

কিন্তু এ ক্ষেত্রে চীনের কাছ থেকে কোনো সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি তারা ধোঁয়াশার মধ্যে রেখে দিয়েছে। নাসার প্রশাসক বিল নেলসন বলেন, রকেটের ধ্বংসাবশেষের সম্ভাব্য ক্ষতিকর ঝুঁকি নিয়ে পূর্বাভাস দিতে আগাম তথ্য দেয়া এবং এ-সম্পর্কিত প্রচলিত রীতিনীতি অনুসরণ করা উচিত।

তিনি আরও বলেন, দায়িত্বশীলভাবে মহাকাশ ব্যবহারে এসব করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, পৃথিবীতে বসবাস করা মানুষের নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সেদিকেও নজর দিতে হবে।

মালয়েশিয়ার সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা যে ভিডিও পোস্ট করেছেন, তা-ও দেখতে অনেকটা রকেটের ধ্বংসাবশেষের মতো। লস অ্যাঞ্জেলেসের নিকটবর্তী অলাভজনক সংস্থা এয়ারোস্পেস কোর্প বলছে, বিশ্বের দীর্ঘতম ও শক্তিশালী রকেট স্টেজ থেকে এভাবে ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীতে ফিরে আসা অপরিণামদর্শী। সাড়ে ২২ টন ওজনের রকেটটি নিয়ন্ত্রণহীনভাবে পৃথিবীতে প্রবেশ করছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে বিশ্লেষকরা বলেন, বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে রকেটটি পৃথিবীতে আসার সময় এটি খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যেতে পারে, যা দুই হাজার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

এ নিয়ে ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এর আগে গত সপ্তাহে ধ্বংসাবশেষ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার কথা জানিয়েছিল চীন সরকার। বেইজিং বলছে, এতে ভূমিতে থাকা মানুষের জন্য খুবই কম ঝুঁকির শঙ্কা আছে।

চীনের নতুন মহাকাশ কেন্দ্রে গবেষণাগার মডিউল পাঠাতে গেল ২৪ জুলাই উড্ডয়ন করেছিল দ্য লং মার্চ ফাইভ-বি। ২০২০ সালে উদ্বোধনের পর চীনের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেটের তৃতীয় উড্ডয়ন ছিল এটি।

এর আগে ২০২০ সালে আইভরি কোস্টে এসে পড়েছিল চীনা লং মার্চ ফাইভ-বি-র আরেকটি রকেট। এতে পশ্চিম আফ্রিকার দেশটির বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদিও হতাহত থেকে বেঁচে যান স্থানীয়রা।

মহাকাশ থেকে রকেটের ফিরে আসা বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ নকশায় অতিরিক্ত খরচ করছে। এর আগে ১৯৭৯ সালে নাসার মহাকাশ কেন্দ্র স্কাইল্যাব কক্ষপথ থেকে খসে অস্ট্রেলিয়ায় পড়েছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:৪০:১৯   ৯৫ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আন্তর্জাতিক’র আরও খবর


মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু
ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা জোরদার করতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি আহ্বান ন্যাটো প্রধানের
নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল ইসরাইল
বিশ্বে করোনায় কমেছে মৃত্যু ও শনাক্ত
ইরানে ভূমিকম্পে নিহত ৩, আহত ৩ শতাধিক
পেরুতে বাস খাদে পড়ে নিহত ২৫
বিশ্বে করোনায় আরও ১০৬২ মৃত্যু, শনাক্ত বেড়েছে
কোরআন অবমাননা: সুইডেনকে সমর্থন না দেয়ার ঘোষণা তুরস্কের
ভারতের মহারাষ্ট্রে মাইক্রোবাস-ট্রাক সংঘর্ষে শিশুসহ নিহত ৯
ইউক্রেনকে ‘ভারী অস্ত্র’ সরবরাহ করতে যাচ্ছে ন্যাটো

আর্কাইভ