সমালোচনাকারীদের পদ্মা সেতু ঘুরে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » সমালোচনাকারীদের পদ্মা সেতু ঘুরে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বুধবার, ২২ জুন ২০২২



---

পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে আদালত দুর্নীতির প্রমাণ না পেলেও বিএনপি ও কিছু সুশীল সমালোচনায় মেতে ওঠেন। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আজ পদ্মা সেতু বাস্তব বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে বুধবার (২২ জুন) দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন তিনি।

এ সময় সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সাহস ও মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর প্রতীক পদ্মা সেতু- এ কথা উল্লেখ করে সমালোচনাকারীদের পদ্মা সেতু ঘুরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোতে দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে তিনি বলেন, ‘আজ আমার হৃদয় খানিকটা ভারাক্রান্ত। স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দুই জেলা সিলেট ও সুনামগঞ্জ। মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জও বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সৃষ্ট ভয়াবহ এ বন্যা পরিস্থিতিতে দুর্গত মানুষের দুর্ভোগ ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সরকার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছে।’

এছাড়া বন্যায় প্লাবিত হয়েছে উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, জামালপুর, শেরপুরসহ ১১টি জেলা। সিলেটে যে বন্যা হয়েছে তা অকল্পনীয়। এটাকে প্রলয়ঙ্করী বললেও ঠিক বুঝানো যায় না বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

সকাল ১১টা থেকে প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁও কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে শুরু করেন তিনি।

আগামী ২৫ জুন সকাল ১০টায় মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশ করে পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন নামফলক উন্মোচন করে টোল দিয়ে পদ্মা সেতু পার হবেন তিনি।

এরপর অন্য প্রান্তেও নামফলক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন বিকেলে মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।

এর আগে পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম সময় সংবাদকে বলেন, ‘পদ্মা সেতু তৈরি করা- এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জের কাজ ছিল আমাদের। আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া যে আমরা শেষপর্যায়ে চলে আসতে পেরেছি।’

বহুল আকাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু আগামী ২৫ জুন সকাল ১০টায় উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর একদিন পর ২৬ জুন থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। এটি দেশের পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের সঙ্গে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর যুক্ত হবে। ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাংশের সংযোগ ঘটবে।

দুই স্তরবিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাস ব্রিজটির ওপরের স্তরে থাকছে চার লেনের সড়কপথ এবং নিচের স্তরটিতে একটি একক রেলপথ।

পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসানো হয়েছে। ৬.১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮.১০ মিটার প্রস্থ পরিকল্পনায় নির্মিত দেশটির সবচেয়ে বড় এ সেতু।

পদ্মা সেতু নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। খরস্রোতা পদ্মা নদীর ওপর ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ হয়েছে স্বপ্নের এ সেতু। ২০১৪ সালে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩:২২:৩৫   ২০৪ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


ঝিনাইদহে দুই বাসের সংঘর্ষ, আহত ১৫
সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন অনু কাপুর
নোয়াখালীতে সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাটের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় চালু হচ্ছে আর্জেন্টিনার দূতাবাস
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নাসিরের ঢাকা
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার কমান্ডারসহ গ্রেফতার ৫
বাজারে আসছে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৩ সিরিজের ফোন
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু
রবীন্দ্রনাথের গল্প ও সুর মানুষকে সঠিক পথ দেখিয়েছে - খাদ্যমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালকের শ্রদ্ধা

আর্কাইভ