এ বাজেট দেশের অর্থনীতিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে : সরকারি দল

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » এ বাজেট দেশের অর্থনীতিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে : সরকারি দল
রবিবার, ১৯ জুন ২০২২



---

ঢাকা, ১৯ জুন, ২০২২ : জাতীয় সংসদে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা আজ বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারির অভিঘাত পেরিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে এ বাজেট উন্নয়নের মহাসড়কে ধাবমান দেশের অর্থনীতিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে।
গত ৯ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার এ বাজেট প্রস্তাব পেশ করেন। এর আগে গত ১৩ জুন সংসদে চলতি অর্থ বছরের সম্পূরক বাজেট পাস করা হয়।
বাজেটের ওপর আলোচনায় আজ অংশ নেন, সরকারি দলের শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, শফিউল ইসলাম, হাফিজুর রহমান, এস এম শাহজাদা, এনামুল হক, তানভির শাকিল জয়, মো. সাহিদুজ্জামান, মাহফুজুর রহমান, উম্মে কুলসুম স্মৃতি, বেগম শবনম জাহান, খন্দকার মনতাহেনা লাভলী, সৈয়দা রুবীনা আখতার, বেগম নার্গিস জামান,তাহমিনা বেগম, বেগম রতœা আহমেদ, নাদিরা ইয়াসমিন ডলি, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, জাতীয় পার্টির আহসান আজিজুর রহমান, গোলাম কিবরিয়া টিপু এবং বিএনপির বেগম রুমীন ফারহানা।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের বর্ষিয়ান সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের কাছে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির সামর্থের প্রমান দিয়েছেন। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের ফলে বিশ্বব্যাংক এ সেতুতে অর্থায়ন করতে অস্বীকার করলে জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সাথে বলেছিলেন, ‘আমরা আমাদের টাকায় এ স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ করবো।’ সে সিদ্ধান্তের মাধ্যমে শত ষড়যন্ত্র আর প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে আজ পদ্মা সেতু জাতিকে উপহার দিয়েছেন জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা। আগামী ২৫ জুন জনগণের স্বপ্নের পদ্মা সেতু আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে। গোটা জাতি এখন মাহেন্দ্রক্ষণের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জনগণের জীবন মানের ব্যাপক উন্নয়ন হবে। পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখবে। বিশেষ করে এর ফলে জিডিপি ১.২৩ ভাগসহ মোট ২.৫ ভাগ বৃদ্ধি পাবে। এ সেতু জনগণের চলাচল ও পণ্য পরিবহনে সুবিধা প্রদান ছাড়াও গোটা দক্ষিণাঞ্চলে অনেক শিল্পকারখানা গড়ে উঠবে, যা কর্মসংস্থানের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে অনেক অবদান রাখবে।
শেখ সেলিম বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনায় বিশ্বের দেশে দেশে অর্থনীতি, সামাজিক ব্যবস্থা, জনজীবন পর্যদুস্ত হয়ে পড়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী সাহসী আর কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার ফলে সফলভাবে সে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছে। জনগণের জীবন যাত্রা ও অর্থনৈতিক কর্মকা- সচল রাখা সম্ভব হয়েছে। আর করোনা টিকা আবিস্কারের সাথে সাথেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিকা সংগ্রহ করে সারা দেশের জনগণকে ব্যাপকভাবে টিকার আওতায় আনার কার্যক্রম শুরু করেন। এ কার্যক্রমের আওতায় দেশে এ পর্যন্ত ২৭ কোটি ৩৮ লাখ ৫ হাজার ১৫৮ ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ বিশ্বে করোনা মোকাবেলায় সফল প্রথম সারির ৫টি দেশের অন্যতম।
তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে ব্যাপক মূল্যস্ফীতির কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশে এটা ৬.৬১ ভাগে রাখা সম্ভব হয়েছে।
ভ্যাকসিন ক্রয়ে দুর্নীতির বিষয়ে বিএনপির অভিযোগের জবাবে শেখ সেলিম বলেন, বিএনপি সব কিছুতেই দুর্নীতি খোঁজে। ওদের মাথার ভেতরে দুর্নীতি। ওদের রক্তে দুর্নীতি। সেজন্য ওরা সবকিছুতেই দুর্নীতি দেখে। অন্য কিছু ওদের চোখে পড়ে না।
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি বলছে বাংলাদেশ নাকি শ্রীলঙ্কা হবে। শ্রীলঙ্কা হলে কি তারা খুশি হবে? বাংলাদেশ ধ্বংস হলে ওরা খুশি হয়। তারা কি বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়? বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তি খুব মজবুত। বাংলাদেশ কখনও শ্রীলঙ্কা হবে না। প্রধানমন্ত্রী যে ধারায় উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছেন, তাতে বাংলাদেশ শ্রীলংকা নয়, সিঙ্গাপুর হবে। মালয়েশিয়া ও সুইজারল্যান্ড হবে।
তিনি বাজেট, পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপি এবং কোন কোন মহলের বক্তব্যকে শুধু বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।
ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন বলেন, বাজেটে নির্দিষ্ট হারে কর দিয়ে বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফেরৎ আনার সুযোগ দেয়া প্রচলিত আইন ও সংবিধান বিরোধী। তিনি এটা না রাখার প্রস্তাব করেন। তিনি ব্যক্তি আয়কর প্রদানে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত রাখার প্রস্তাব করেন।
তিনি বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ কম রাখা হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, এ দু’খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। তিনি সিগারেট, বিড়িসহ তামাক পণ্যে আরো করারোপ করার সুপারিশ করেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বাজেট সমালোচনার জবাবে বলেন, শত সমালোচনার মুখেও গত ১৩ বছরে জাতি হিসেবে আমরা অনেক এগিয়েছি। আমাদের ধারাবাহিকভাবে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে, মাথাপিছু আয় বেড়েছে, রেমিট্যান্স বেড়েছে, রিজার্ভ বেড়েছে, গড় আয়ু বেড়েছে, জীবনমান উন্নত হয়েছে। বিপরীতে দারিদ্র্য হার, মা ও শিশু মৃত্যু হার, আয় বৈষম্য, নিরক্ষরতার হার হ্রাস পেয়েছে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেন, এ বাজেট বাস্তবায়ন করোনা পরবর্তী আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা মেরামত করে পুনরায় প্রাণসঞ্চার করে কাঙ্খিত প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে সফলভাবে করোনা মোকাবেলা করা সম্ভব হচ্ছে।
তারা বলেন, এজন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছে। বিশেষ করে করোনাকালে আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা ও সাধারণ জীবন সচল রাখতে যে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে তা অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। এবারো বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য, সেবাখাতসহ সব খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:১৪:০০   ২৬৬ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


ঝিনাইদহে দুই বাসের সংঘর্ষ, আহত ১৫
সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন অনু কাপুর
নোয়াখালীতে সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাটের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় চালু হচ্ছে আর্জেন্টিনার দূতাবাস
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নাসিরের ঢাকা
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার কমান্ডারসহ গ্রেফতার ৫
বাজারে আসছে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৩ সিরিজের ফোন
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু
রবীন্দ্রনাথের গল্প ও সুর মানুষকে সঠিক পথ দেখিয়েছে - খাদ্যমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালকের শ্রদ্ধা

আর্কাইভ