নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সাহসের আইকন। সাহস থাকলে কি হয় পদ্মা সেতু তার প্রমান।
আজ বৃহষ্পতিবার রাজধানীর দৈনিক বাংলাস্থ বিএসসি’র আঞ্চলিক কার্যালয় বিএসসি টাওয়ারে এমভি সমৃদ্ধি জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মরহুম হাদিসুর রহমানের পরিবার এবং অন্যান্য কর্মকর্তা ও নাবিকদের ৭ মাসের বেতনের সমপরিমান ক্ষতিপুরণের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা জাহাজ ‘এমভি সমৃদ্ধি’ হারিয়েছি। আমরা আরো জাহাজ সংগ্রহ করে সমৃদ্ধ হব। সাহস ও মনোবল হারাবেন না। অফিসার ও নাবিকরা আবার কর্মক্ষেত্রে যোগদান করবেন। বাংলাদেশের এম্বাসেডর হিসেবে কাজ করবেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রাখবেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকেপড়া এম.ভি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে মৃত্যুবরণকারী জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মরহুম মো. হাদিসুর রহমানের পরিবার এবং অন্যান্য কর্মকর্তা-নাবিকদের বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি)’র পক্ষ হতে ক্ষতিপুরণের চেক প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া থার্ড ইঞ্জিনিয়ার নিহত মরহুম হাদিসুর রহমানের ভাইকে বিএসসিতে চাকরি দেয়া হয়েছে।
বিএসসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর এসএম মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, জাহাজের বীমাকারী প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজ অলভিয়া বন্দরের ইনার এ্যাংকরেজে অবস্থানকালীন ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। বন্দরের প্রবেশমুখে মাইন স্থাপন করে রাখা এবং বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়াতে বন্দরের পাইলট না পাওয়ায় জাহাজ অলভিয়া বন্দরের ইনার এ্যাংকরেজ থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়নি এবং পরবর্তীতে ২ মার্চ ইউক্রেনের স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকাল ৫ টা ১০ মিনিটে জাহাজে ক্ষেপনাস্ত্র আঘাত হানে। এতে জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা যান।
পরিবর্তিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পোল্যান্ড এবং রোমানিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশী দূতাবাসের সহায়তায় এবং বিএসসি’র সার্বিক প্রচেষ্টায় গত ৯ মার্চ জাহাজে অবস্থানরত ২৮ জন নাবিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। ১৪ মার্চ হাদিসুর রহমানের মৃতদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা হয় এবং যথাযোগ্য মর্যাদায় তার নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, হাদিসুরকে আমরা ফিরে পাবনা। দুর্ঘটনার পর হাদিসুরের বাবা টেলিফোনে আমাকে বলেছিলেন, হাদিসুর আমাদের একমাত্র অবলম্বন। আমরা কোথায় যাব। এ চেকটি একটা অবলম্বনের পথ খুঁজে দিল। হাদিসুরের ভাইকে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনে (বিএসসি) চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরবর্তিতে তার যোগ্যতা অনুযায়ি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কোন সংস্থায় স্থায়ী চাকরির ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৩:১৭   ২৭১ বার পঠিত