চায়নার সাথে বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে রপ্তানি বৃদ্ধির বিকল্প নেই - বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রথম পাতা » কৃষি ও বাণিজ্য » চায়নার সাথে বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে রপ্তানি বৃদ্ধির বিকল্প নেই - বাণিজ্যমন্ত্রী
বুধবার, ৮ জুন ২০২২



---

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, চায়নার সাথে বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে রপ্তানি বৃদ্ধির বিকল্প নেই। চীন পণ্যের একটি বিশাল বাজার। চীনের বাজারে বাংলাদেশের অনেক পণ্য রপ্তানির সুযোগ রয়েছে, আমাদের এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ যে সকল দেশে তৈরিপোশাক রপ্তানি করছে, চীন তার চেয়েও কয়েক গুণ বড় বাজার। আমাদের শিল্পের যন্ত্রপাতি ও কাঁচামালসহ বিভিন্ন পণ্য চীন থেকে আমদানি করতে হয় কিন্তু আমরা সে পরিমাণ পণ্য চীনে রপ্তানি করতে পারি না। সে কারণেই চীনের সাথে আমাদের বাণিজ্য ব্যবধান অনেক বেশি। আমাদের শুধু তৈরিপোশাকের ওপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না। অন্যান্য রপ্তানি পণ্য উৎপাদন করে চীনে তা রপ্তানি করেই বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে হবে। বিগত ২০২০-২০২১ অর্থবছরে আমরা চীনে রপ্তানি করেছি ৬৮০ দশমিক ৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য, একই সময়ে চীন থেকে আমদানি হয়েছে প্রায় ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে রিসার্চ এন্ড পলিসি ইনট্রিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (রেপিড) এবং বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অভ্‌ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত “মেকিং দ্য মোস্ট অভ্‌ মার্কেট এক্সেস ইন চায়না হোয়াট নিডস টু বি ডান” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সেমিনারে বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক।

মন্ত্রী বলেন, চীনের অনেক বিনিয়োগ বাংলাদেশে আছে, এ বিনিয়োগ আরো বাড়াতে পারে। বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক শিক্ষিত ও দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। চায়না শিল্প কলকারখানা বাংলাদেশে রিলোকেট করে কম খরচে পণ্য উৎপাদন করে অন্য দেশে রপ্তানি করতে পারে। বাংলাদেশের স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ তৈরিপোশাকের পাশাপাশি পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, প্লাস্টিক পণ্য, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, আইসিটি পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এ সকল সেক্টরের রপ্তানি বাড়ছে। এ সকল সেক্টরে রপ্তানি বৃদ্ধি পেলে দেশের রপ্তানি আয় যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি চীনের সাথে বাণিজ্য ব্যবধান কমে আসবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ বিশাল বাণিজ্য ব্যবধান কমিয়ে আনার জন্য আমরা প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। চায়না আমাদের প্রায় ৯৮ ভাগ পণ্য রপ্তানির ওপর ডিউটি ফ্রি সুবিধা প্রদান করছে। বাংলাদেশ আগামী ২০২৬ সাল থেকে এলডিসি গ্রাজুয়েশন করছে। বাংলাদেশ আশা করছে চীন আরো তিন বছর বাড়িয়ে আগামী ২০২৯ সাল পর্যন্ত এ বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখেবে। এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর বাংলাদেশ বাণিজ্য সুবিধা পেতে বিভিন্ন দেশের সাথে এফটিএ বা পিটিএ এর মতো বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করে সুবিধা গ্রহণ করবে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে চীনের সাথে এমওইউ স্বাক্ষর করেছে। জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করে সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। সবদিক বিবেচনায় নিয়েই চীনের সাথে আমাদের বাণিজ্য চুক্তি হতে পারে।

বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অভ্‌ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিসিআই) এর প্রেসিডেন্ট গাজী গোলাম মুরতজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিসিসিআই এর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল আল মামুন মৃধা ।

বাংলাদেশ সময়: ২২:৪৮:৪৬   ২৭০ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

কৃষি ও বাণিজ্য’র আরও খবর


বাংলাদেশে সৌরবিদ্যুৎ সেচে সহযোগিতা করবে জার্মানি
‘ভোজ্যতেল আমদানি করতে বছরে ২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়’
কম খরচে বেশি লাভ সরিষার আবাদে
জয়পুরহাটে ৫০ হেক্টর জমিতে এবার তিলের চাষ হয়েছে
কুমিল্লায় রোপা আমনের মাঠে সবুজ হাসি
ইতিহাসের এই দিনে
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে মালয়েশিয়ায় ‘সিরাহ কনফারেন্স’ অনুষ্ঠিত
দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হোক, এটা চায়নি বিএনপি সরকার: শেখ হাসিনা
৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পাচ্ছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার
বাংলাদেশের পরিস্থিতি অবগত আছি : জাপানের রাষ্ট্রদূত

আর্কাইভ