৭৮৬ কোটি থেকে পৌনে ৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট

প্রথম পাতা » কৃষি ও বাণিজ্য » ৭৮৬ কোটি থেকে পৌনে ৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট
বুধবার, ৮ জুন ২০২২



---

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বাজেট উত্থাপন করেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ। ১৯৭২ সালের ৩০ জুন উত্থাপিত এই বাজেটের আকার ছিল ৭৮৬ কোটি টাকা। চলতি মাসের ৯ তারিখে উত্থাপিত হতে যাচ্ছে দেশের ৫২তম বাজেট। সম্ভাব্য বাজেটের আকার ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা। উত্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বাংলাদেশের উত্থাপিত প্রথম বাজেটের থেকে বর্তমান উত্থাপিত সম্ভাব্য বাজেটের আকার হবে প্রায় সাড়ে সাতশ’ গুণের থেকেও বড়। স্বাধীনতার পর থেকে টানা তিনটি বাজেট (১৯৭২-৭৩, ১৯৭৩-৭৪, এবং ১৯৭৪-৭৫ অর্থবছর) উত্থাপন করেন তাজউদ্দীন আহমদ। স্বাধীনতার পরের তিনটি বাজেটের আকার ছিল যথাক্রমে ৭৮৬ কোটি টাকা, ৯৯৫ কোটি টাকা, এবং ১ হাজার ৮৪ দশমিক ৩৭ কোটি টাকা।

এদিকে গত তিন অর্থবছরের (২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২) বাজেটের আকার ছিল যথাক্রমে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা, ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা ও ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। তিনটি বাজেটই উত্থাপন করেছেন বর্তমান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বাজেট পেশ করেন দুজন সাবেক অর্থমন্ত্রী- আবুল মাল আব্দুল মুহিত ও এম সাইফুর রহমান। দু’জনই আলাদাভাবে ১২ বার করে ২৪টি বাজেট উত্থাপন করেছিলেন। এদের মধ্যে আবুল মাল আব্দুল মুহিত এরশাদ সরকার ও আওয়ামী লীগের উভয়ের হয়েই বাজেট উত্থাপন করেন।

আবুল মাল আব্দুল মুহিত প্রথম বাজেট উত্থাপন করেন ১৯৮২-৮৩ অর্থবছরে এরশাদ সরকারের সময়। সে সময়ে মুহিতের বাজেটের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। তিনি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে নিজের সর্বশেষ বাজেট উত্থাপন করেন, যেটির পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। মুহিতই একমাত্র অর্থমন্ত্রী যার প্রথম বাজেটের তুলনায় শেষ বাজেটের আকার ছিল ৯৮ গুণ বড়।

এ ছাড়া মুহিতের হাত ধরে বাংলাদেশ লাখ কোটি টাকা বাজেটের মাইলফলক স্পর্শ করে। বাংলাদেশ ২০০৯-১০ অর্থবছরে প্রথম লাখ কোটি টাকার বাজেট উত্থাপন করে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে বাজেটের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা।

অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে থেকে বিএনপির এম সাইফুর রহমান ১৯৮০-৮১ ও ১৯৮১-৮২ অর্থবছরে দুবার এবং ১৯৯১-৯২, ১৯৯২-৯৩, ১৯৯৩-৯৪, ১৯৯৪-৯৫, ১৯৯৫-৯৬ অর্থবছরে পাঁচবার এবং ২০০২-০৩, ২০০৩-০৪, ২০০৪-০৫, ২০০৫-০৬, ২০০৬-০৭ পর্যন্ত আরও পাঁচ বারসহ সর্বমোট ১২ বার বাজেট পেশ করেন।

সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৯৮২-৮৩ ও ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছরে দুই বার, ২০০৯-১০, ২০১০-১১, ২০১১-১২, ২০১২-১৩, ২০১৩-১৪, ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১০ বারসহ সর্বমোট ১২ বার বাজেট পেশ করেন।

সবকিছু ঠিক থাকলে বর্তমান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল টানা চতুর্থবারের মতো বাজেট পেশ করবেন। এবারের ৫২তম বাজেটের সম্ভাব্য পরিমাণ হবে ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা।

বাংলাদেশে কেবল অর্থমন্ত্রীরাই নন, সামরিক শাসক হিসেবে টানা তিনবার বাজেট উত্থাপন করেন জিয়াউর রহমান। ১৯৭৬-৭৭, ১৯৭৭-৭৮, ১৯৭৮-৭৯ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপন করেন তিনি। এ ছাড়া ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে টানা ছয়বার বাজেট উত্থাপন করেন শাহ এ এম এস কিবরিয়া।

এ কথা অনস্বীকার্য যে, স্বাধীন বাংলাদেশ শুরুর অর্থনীতির সঙ্গে বর্তমান অর্থনীতির পরিমাণগত ও গুণগতমানে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। তবে এ কথাও ঢালাওভাবে বলা যায় না যে, সে সময়ের ৭৮৬ কোটি টাকা পরিমাণগত জায়গা থেকে স্বল্প। কেননা মূল্যস্ফীতির হিসাব করলে বাজারমূল্য ও স্থিরকৃতমূল্যে বড় ধরনের ব্যবধান লক্ষণীয়। স্বাধীনতার পরে বাজারমূল্যের সঙ্গে বর্তমান বাজারমূল্যের তুলনা করলে দেখা যায়, বর্তমান বাজারমূল্য তৎকালীন সময়ের বাজারমূল্যের থেকে প্রায় সাড়ে ৭০০ গুণ বেশি। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বাজেট উত্থাপন করেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ। ১৯৭২ সালের ৩০ জুন উত্থাপিত এই বাজেটের আকার ছিল ৭৮৬ কোটি টাকা। চলতি মাসের ৯ তারিখে উত্থাপিত হতে যাচ্ছে দেশের ৫২তম বাজেট। সম্ভাব্য বাজেটের আকার ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা। উত্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বাংলাদেশের উত্থাপিত প্রথম বাজেটের থেকে বর্তমান উত্থাপিত সম্ভাব্য বাজেটের আকার হবে প্রায় সাড়ে সাতশ’ গুণের থেকেও বড়। স্বাধীনতার পর থেকে টানা তিনটি বাজেট (১৯৭২-৭৩, ১৯৭৩-৭৪, এবং ১৯৭৪-৭৫ অর্থবছর) উত্থাপন করেন তাজউদ্দীন আহমদ। স্বাধীনতার পরের তিনটি বাজেটের আকার ছিল যথাক্রমে ৭৮৬ কোটি টাকা, ৯৯৫ কোটি টাকা, এবং ১ হাজার ৮৪ দশমিক ৩৭ কোটি টাকা।

এদিকে গত তিন অর্থবছরের (২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২) বাজেটের আকার ছিল যথাক্রমে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা, ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা ও ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। তিনটি বাজেটই উত্থাপন করেছেন বর্তমান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বাজেট পেশ করেন দুজন সাবেক অর্থমন্ত্রী- আবুল মাল আব্দুল মুহিত ও এম সাইফুর রহমান। দু’জনই আলাদাভাবে ১২ বার করে ২৪টি বাজেট উত্থাপন করেছিলেন। এদের মধ্যে আবুল মাল আব্দুল মুহিত এরশাদ সরকার ও আওয়ামী লীগের উভয়ের হয়েই বাজেট উত্থাপন করেন।

আবুল মাল আব্দুল মুহিত প্রথম বাজেট উত্থাপন করেন ১৯৮২-৮৩ অর্থবছরে এরশাদ সরকারের সময়। সে সময়ে মুহিতের বাজেটের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। তিনি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে নিজের সর্বশেষ বাজেট উত্থাপন করেন, যেটির পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। মুহিতই একমাত্র অর্থমন্ত্রী যার প্রথম বাজেটের তুলনায় শেষ বাজেটের আকার ছিল ৯৮ গুণ বড়।

এ ছাড়া মুহিতের হাত ধরে বাংলাদেশ লাখ কোটি টাকা বাজেটের মাইলফলক স্পর্শ করে। বাংলাদেশ ২০০৯-১০ অর্থবছরে প্রথম লাখ কোটি টাকার বাজেট উত্থাপন করে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে বাজেটের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা।

অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে থেকে বিএনপির এম সাইফুর রহমান ১৯৮০-৮১ ও ১৯৮১-৮২ অর্থবছরে দুবার এবং ১৯৯১-৯২, ১৯৯২-৯৩, ১৯৯৩-৯৪, ১৯৯৪-৯৫, ১৯৯৫-৯৬ অর্থবছরে পাঁচবার এবং ২০০২-০৩, ২০০৩-০৪, ২০০৪-০৫, ২০০৫-০৬, ২০০৬-০৭ পর্যন্ত আরও পাঁচ বারসহ সর্বমোট ১২ বার বাজেট পেশ করেন।

সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৯৮২-৮৩ ও ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছরে দুই বার, ২০০৯-১০, ২০১০-১১, ২০১১-১২, ২০১২-১৩, ২০১৩-১৪, ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১০ বারসহ সর্বমোট ১২ বার বাজেট পেশ করেন।

সবকিছু ঠিক থাকলে বর্তমান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল টানা চতুর্থবারের মতো বাজেট পেশ করবেন। এবারের ৫২তম বাজেটের সম্ভাব্য পরিমাণ হবে ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা।

বাংলাদেশে কেবল অর্থমন্ত্রীরাই নন, সামরিক শাসক হিসেবে টানা তিনবার বাজেট উত্থাপন করেন জিয়াউর রহমান। ১৯৭৬-৭৭, ১৯৭৭-৭৮, ১৯৭৮-৭৯ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপন করেন তিনি। এ ছাড়া ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে টানা ছয়বার বাজেট উত্থাপন করেন শাহ এ এম এস কিবরিয়া।

এ কথা অনস্বীকার্য যে, স্বাধীন বাংলাদেশ শুরুর অর্থনীতির সঙ্গে বর্তমান অর্থনীতির পরিমাণগত ও গুণগতমানে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। তবে এ কথাও ঢালাওভাবে বলা যায় না যে, সে সময়ের ৭৮৬ কোটি টাকা পরিমাণগত জায়গা থেকে স্বল্প। কেননা মূল্যস্ফীতির হিসাব করলে বাজারমূল্য ও স্থিরকৃতমূল্যে বড় ধরনের ব্যবধান লক্ষণীয়। স্বাধীনতার পরে বাজারমূল্যের সঙ্গে বর্তমান বাজারমূল্যের তুলনা করলে দেখা যায়, বর্তমান বাজারমূল্য তৎকালীন সময়ের বাজারমূল্যের থেকে প্রায় সাড়ে ৭০০ গুণ বেশি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩:২৭:০০   ২৩৮ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

কৃষি ও বাণিজ্য’র আরও খবর


বাংলাদেশে সৌরবিদ্যুৎ সেচে সহযোগিতা করবে জার্মানি
‘ভোজ্যতেল আমদানি করতে বছরে ২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়’
কম খরচে বেশি লাভ সরিষার আবাদে
জয়পুরহাটে ৫০ হেক্টর জমিতে এবার তিলের চাষ হয়েছে
কুমিল্লায় রোপা আমনের মাঠে সবুজ হাসি
ইতিহাসের এই দিনে
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে মালয়েশিয়ায় ‘সিরাহ কনফারেন্স’ অনুষ্ঠিত
দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হোক, এটা চায়নি বিএনপি সরকার: শেখ হাসিনা
৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পাচ্ছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার
বাংলাদেশের পরিস্থিতি অবগত আছি : জাপানের রাষ্ট্রদূত

আর্কাইভ