দেশে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমেছে : তথ্যমন্ত্রী

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » দেশে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমেছে : তথ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার, ২২ মার্চ ২০২২



---

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে ধূমপায়ীর সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক কমেছে। মানুষ যেভাবে বাড়ছে হয়তো সংখ্যায় সেভাবে কমছে না। কিন্তু পারসেন্টেন্স ওয়াইজ ধূমপায়ীর সংখ্যা অনেক কমেছে।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) দুপুরে সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং আয়োজিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জন এবং অসংক্রামক রোগ (এনসিডি) প্রতিরোধে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ধূমপায়ীর সংখ্যা কমার বড় কারণ হচ্ছে- প্রথমত, আমাদের আইন করা হয়েছে জনসম্মুখে ধূমপান করা যাবে না। দ্বিতীয়ত, ব্যাপক প্রচারণা হচ্ছে। এসব কারণে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমেছে। আমি খুবই আনন্দিত যে, একটা পার্লামেন্টারি ফোরাম হয়েছে যারা এগুলো নিয়ে কাজ করছেন। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়া। এটা আর বেশি দূরে নয়।

তিনি বলেন, যদি ক্যাম্পেইন ঠিকমতো না হয়, যদি আইনের প্রয়োগটা ঠিকমতো না হয় তাহলে আমরা লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হব। তথ্য মন্ত্রণালয় তামাক বিরোধী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। বেসরকারি গণমাধ্যমকেও এগিয়ে আসতে হবে। সমন্বিতভাবে এ নিয়ে ক্যাম্পেইন চালাতে পারলে আমরা লক্ষ্য অর্জনে সফল হব। তামাক নিয়ন্ত্রণে জোর প্রচারণা দরকার।

সেমিনারে ফোরামের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত বলেন, বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের মাধ্যমে সংসদ সদস্যরা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় নানান কার্যক্রম পালন করছে। তারই ধারাবাহিকতায় ফোরামের পক্ষ থেকে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের অনুরোধ জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বরাবর ১৫২ জন সংসদ সদস্যের স্বাক্ষরিত চিঠি দিয়েছি। ১৫৩ জন সংসদ সদস্য মিলে প্রধানমন্ত্রী বরাবর ই-সিগারেটসহ তামাক আইন সংশোধনে ডিও লেটার প্রদানের মাধ্যমে অনুরোধ জানিয়েছি। সব ধরনের তামাকপণ্যে কর ও মূল্যবৃদ্ধির জন্য অর্থমন্ত্রীর নিকট চিঠি দিয়েছি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দ্রুতই তামাক আইন সংশোধন করবেন। জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল সে অনুযায়ী অনেকটা পথ এগিয়েছে। আমরা আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আমাদের এ উদ্যোগ পথে অনেকটা এগিয়ে নেবে।

সেমিনারে অন্যান্য বক্তারা বলেন, দেশে প্রতি বছর মোট মৃত্যুর ৬৭ শতাংশ ঘটে অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে, যার জন্য মূলত দায়ী তামাকপণ্য। দেশের শতকরা ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ কোনো না কোনো তামাকপণ্য ব্যবহার করেন। বছরে প্রায় ৬১ হাজার শিশু ধূমপান না করেও তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বছরে মৃত্যুবরণ করেন ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ। তামাকের এই ভয়াবহতা উপলব্ধি করে আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন সংশোধনের কোনো বিকল্প নেই।

সেমিনার আরও আলোচনা করেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ. ফ. ম রুহুল হক, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের পরিচালক ও সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম ও সমন্বয়কারী হোসেন আলী খোন্দকার, যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তামাক নিয়ন্ত্রণ গবেষণা সেলের প্রতিনিধি শেজাল শারফ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৩৭:৩৫   ১১২ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


ঝিনাইদহে দুই বাসের সংঘর্ষ, আহত ১৫
সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন অনু কাপুর
নোয়াখালীতে সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাটের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় চালু হচ্ছে আর্জেন্টিনার দূতাবাস
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নাসিরের ঢাকা
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার কমান্ডারসহ গ্রেফতার ৫
বাজারে আসছে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৩ সিরিজের ফোন
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু
রবীন্দ্রনাথের গল্প ও সুর মানুষকে সঠিক পথ দেখিয়েছে - খাদ্যমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালকের শ্রদ্ধা

আর্কাইভ