অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্যের এখতিয়ার নেই রাষ্ট্রদূতদের: বিশ্লেষক

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্যের এখতিয়ার নেই রাষ্ট্রদূতদের: বিশ্লেষক
সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২



অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্যের এখতিয়ার নেই রাষ্ট্রদূতদের: বিশ্লেষক

একটা সময় ছিল যখন দুটি দেশের মধ্যে যোগাযোগ করতে কয়েকদিন এমনকি কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতো। সময় বদলের সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। তারপরও সরাসরি যোগাযোগের বিকল্প নেই। সেই জায়গা থেকেই দেশে দেশে চালু হয়েছে অ্যাম্বাসেডর বা রাষ্ট্রদূতের প্রচলন।

ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী একটি দেশের রাষ্ট্রদূত দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নেই কাজ করতে পারবেন, এটাই তাদের সীমা। এর বাইরে কিছু করতে হলে বা বলতে হলে অবস্থানকারী দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক।

পররাষ্ট্র বিশ্লেষকরা বলছেন, একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বা মন্তব্য করার এখতিয়ার নেই রাষ্ট্রদূতদের। তাদের মতে, আইনের ব্যত্যয় করলে সরকার যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারকে অভিযোগ দিতে পারে।

সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান বলেন, ভিয়েনা কনভেশন অনুযায়ী রাষ্ট্রদূতরা কেবল সংশ্লিষ্ট দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন করবেন। এমন কিছু তিনি করবেন না বা বলবেন না, যেটা দুই দেশের সম্পর্ককে খারাপ করতে পারে।

সম্প্রতি জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাও‌কি বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা এখতিয়ার বহির্ভূত বলে মনে করেন সাবেক এ রাষ্ট্রদূত। এসব ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আরও কঠোর হওয়ার তাগিদ দেন তিনি।

রাষ্ট্রদূতদের আইনবিরুদ্ধ কাজ করতে দেশীয় কোনো সংস্থা যদি কাউকে উস্কে দেয় সেটাও অনুচিত বলে মনে করেন অনেকে। বিশ্লেষকদের মতে সম্প্রতি জাপানি রাষ্ট্রদূত সেন্টার ফর গর্ভন্যান্স স্টাডিজ বা সিজিএস-এর ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ অনুষ্ঠানে সে রকম উস্কানি পেয়েছেন বলেই নির্বাচন নিয়ে নাক গলিয়েছেন। তাই এমন অনুষ্ঠানে জনসাধারণের সামনে অ্যাম্বাসেডরদের বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি ফেলা কতটুকু আইনসিদ্ধ বা যৌক্তিক তা ভেবে দেখার সুযোগ আছে বলে মন্তব্য করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ।

অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, আমি যদি আমেরিকার কথা বলি সেখানেও দুর্বলতা আছে। কিন্তু সেই দুর্বলতার কারণে কি সেখানে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সেই প্ল্যাটফর্ম দেয়া হবে? কখনোই না। এখন এ প্ল্যাটফর্ম কেন দেয়া হয়, সেটা আমার জানা নেই। কিন্তু যারা দেন, তারা যদি একটু ইতিহাসের দিকে তাকান, তাহলে হয়তো বুঝতে পারবেন যে এ প্ল্যাটফর্ম দিয়ে তাদের (রাষ্ট্রদূত) মাধ্যমে এসব বলে কোনো লাভ হয় না।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মো. আব্দুর রশিদ বলেন, এখানে কোনো পরিকল্পিত ঘটনা ঘটানো হয়েছে কিনা, যেটি দুই দেশের সম্পর্ককে অবদমন করার জন্য; তাহলে যদি পরিকল্পিত কিছু হয়ে থাকে, সেটি যদি তদন্তে বেরিয়ে আসে তাহলে কিন্তু আইন লঙ্ঘন হয়ে যাবে।

এমন আয়োজন বন্ধ হওয়া উচিত বলে মত দিয়ে তিনি আরও বলেন, আরেকটি দেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো অনুষ্ঠান যদি আপনি করতে থাকেন, সেটি যদি নেতিবাচক অ্যাপ্রোচে হয়, তাহলে আমাদের দেশের আইন তো আইনের চোখেই দেখবে।

১৯৬১ সালের ভিয়েনা কনভেনশনে কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং ১৯৬৩ সালে কনস্যুলার রিলেশন নীতি মেনে চলতে কূটনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানান এ পররাষ্ট্র বিশ্লেষক।

বাংলাদেশ সময়: ৯:০২:৩৪   ৯৮ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


ঝিনাইদহে দুই বাসের সংঘর্ষ, আহত ১৫
সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন অনু কাপুর
নোয়াখালীতে সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাটের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় চালু হচ্ছে আর্জেন্টিনার দূতাবাস
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নাসিরের ঢাকা
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার কমান্ডারসহ গ্রেফতার ৫
বাজারে আসছে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৩ সিরিজের ফোন
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু
রবীন্দ্রনাথের গল্প ও সুর মানুষকে সঠিক পথ দেখিয়েছে - খাদ্যমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালকের শ্রদ্ধা

আর্কাইভ