সাইকেল চালিয়ে দুর্বার গতিতে স্কুলবালিকারা

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » সাইকেল চালিয়ে দুর্বার গতিতে স্কুলবালিকারা
বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২



---

ইভা, জান্নাতি ও হিয়া মনি। আরও রয়েছে শতাধিক বালিকা। সবার কাছে বাইসাইকেল। ব্যাগভর্তি পাঠ্যবই নিয়ে দলবেঁধে যায় স্কুলে। পাঠগ্রহণ শেষে একই সঙ্গে প্যাডেল চালিয়ে আবার ফিরে বাড়িতে। কতিপয় বখাটেদের উত্ত্যক্ত ও নির্যাতনকে পরোয়া না করে দুর্বার গতিতে এভাবে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করছে তারা।
সম্প্রতি এমনি এক চিত্র দেখা গেছে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বাসুদেবপুর চন্দ্র কিশোর স্কুল অ্যান্ড কলেজে। এ প্রতিষ্ঠানটির শতাধিক বালিকা দলবদ্ধভাবে বাইসাইকেল চালিয়ে পাঠগ্রহণে আসে আবার ছুটির ঘণ্টা বাজলেই নিরাপদে ফিরে নিজ নিজ বাড়িতে।
জানা যায়, বাসুদেবপুর চন্দ্র কিশোর স্কুল অ্যান্ড কলেজের লেখাপড়ার মান ভালো। এ কারণে দূর- দূরান্ত থেকে মেয়েরা এখানে এসে ভর্তি হচ্ছে। গ্রামের এসব জায়গা থেকে স্কুলে আসতে তাদের অনেক বেগ পেতে হয়। বর্ষাকালে কাঁদা-পানি মাড়িয়ে আসতে আরও অনেক কষ্ট হয়। সময় মত রাস্তায় যানবাহন পাওয়া যায় না। কখনো পাওয়া গেলেও ভাড়া বেশি নেয় চালকরা। একই সঙ্গে বখাটেদের উত্ত্যক্তের শিকার হওয়ারও আশঙ্কা করা হয়। ফলে দলবেঁধে সাইকেল নিয়ে স্কুলে যাওয়া-আসাতে নিরাপত্তা বেশি থাকে। এসব কথা চিন্তা করে স্কুলের শিক্ষক ও অভিভাবকরা মিলে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও সাইকেল নিয়ে স্কুলে আসবে এমন সিদ্ধান্তের পর বতর্মানে শতাধিক ছাত্রী নিয়মিত সাইকেল নিয়ে স্কুলে যাতায়াত করছে।
অস্টম শ্রেণির ছাত্রী ইভা আক্তার বলে, ‘আমার বাড়ি দুই কিলোমিটার দূরে। প্রতিদিন বাইসাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাতায়াত করি। প্রথম প্রথম একটু সমস্যা হতো। কিন্তু এখন কোনো সমস্যা হয় না। আগে হেঁটে স্কুলে আসতে অনেক সময় লাগত। তাই নিয়মিত স্কুলে আসা-যাওয়া হতো না। এখন বাইসাইকেল নিয়ে আসার কারণে অনেক সময় বেঁচে যায়।’
হিয়া মনি নামের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী জানায়, ‘বাইসাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাওয়া-আসা করতে সময় ও অর্থ দুটোই বাঁচে। এছাড়া কোনো ইভটিজিংয়ের ভয় থাকে না। তাই আমরা বান্ধবীরা একখানে হয়ে দলবেঁধে স্কুলে যাই। স্কুল শেষে আবার বাসায় ফিরি।’
আব্দুর রহিম নামের এক অভিভাক জানান, তার মেয়ে ষষ্ঠ শেণিতে পড়ে। সময়-অর্থ বাঁচাতে এবং নিরাপদে স্কুলে যাতায়াত করতে মেয়েকে বাইসাইকেল কিনে দিয়েছেন। বান্ধবীদের সঙ্গে একত্রে হয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করে। এতে করে নিজেও চিন্তামুক্ত থাকেন।
বাসুদেবপুর চন্দ্র কিশোর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ একেএম আব্দুর নূর জানান, শিক্ষায় মেয়েদের উদ্বুদ্ধ করতে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের বাইসাইকেলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। এখন আমার স্কুলের মেয়েরা দলবেঁধে সময় মতো বাইসাইকেল চালিয়ে স্কুলে আসে। স্কুলের শিক্ষকরাও সাইকেলে আসতে ওদের উৎসাহিত করে। এক সঙ্গে দলবেঁধে এলে নিরাপত্তা নিয়ে ভয় থাকে না।
পলাশবাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহতাব হোসেন জানান, আগের চেয়ে নারী শিক্ষার হার বেড়েছে। তাদের স্কুলে আসতে উৎসাহিত করতে উপবৃত্তিসহ বিভিন্ন প্রকার সরকারি সুযোগ সুবিধা অব্যাহত রয়েছে। সেই সঙ্গে ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা দলবেঁধে বাইসাইকেল চালিয়ে পাঠগ্রহণ করতে যায়, এটা খুবই ভালো দিক।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:২৮:৩৬   ১০৫ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


ঝিনাইদহে দুই বাসের সংঘর্ষ, আহত ১৫
সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন অনু কাপুর
নোয়াখালীতে সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাটের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় চালু হচ্ছে আর্জেন্টিনার দূতাবাস
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নাসিরের ঢাকা
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার কমান্ডারসহ গ্রেফতার ৫
বাজারে আসছে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৩ সিরিজের ফোন
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু
রবীন্দ্রনাথের গল্প ও সুর মানুষকে সঠিক পথ দেখিয়েছে - খাদ্যমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালকের শ্রদ্ধা

আর্কাইভ