মাদকবিরোধী অভিযান: কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণের পরামর্শ

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » মাদকবিরোধী অভিযান: কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণের পরামর্শ
বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২



---

মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে চোরাচালানিদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনা নতুন নয়। অনেক সময় অভিযানে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হওয়ার পাশাপাশি আহত এবং নিহত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। এ অবস্থায় বাড়তি সতর্কতার পাশাপাশি কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশীদ।

জানা গেছে, মিয়ামারের অভ্যন্তরে রাখাইন অঞ্চলে চলছে গোলাগুলি। একাধিকবার বাংলাদেশ সীমান্তে এসে পড়েছে মর্টারশেল। কক্সবাজার ও বান্দরবান সীমান্তে বিরাজ করছে আতঙ্ক। এ অবস্থার মধ্যেই থেমে নেই মাদক কারবারিদের অপতৎপরতা। দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ইয়াবার চালান ঢুকছে।

গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবিসহ অন্যান্য সংস্থা অভিযানও পরিচালনা করে আসছে নিয়মিত। এসব অভিযানে গিয়ে অনেক সময় মাদক চোরাচালানিদের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। আহত হওয়ার পাশাপাশি ঘটে নিহতের ঘটনাও। বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তে সোমবার রাতের ঘটনা তার বড় প্রমাণ। প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর ডিজিএফআইর এক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। আর র‌্যাবের এক কনস্টেবল গুরুতর আহত হন মাদকবিরোধী যৌথ অভিযানে। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, অনেক সময় মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে আমাদের অনেক সদস্য আহত হচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রেই মাদক চোরাকারবারির হাতে আমাদের সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাদকের সিন্ডিকেট অনেক বড় এবং তাদের রয়েছে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। হাজার হাজার কোটি টাকার মাদক বাণিজ্য টিকিয়ে রাখতে চোরাচালানিদের নিশ্চয়ই আলাদা পরিকল্পনা থাকে। তাই বাড়তি সতর্কতা দরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, আমাদের দেশেও যদি মাফিয়া তৈরি হয়, তাহলে তাদের নির্মূল করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শক্তি, প্রশিক্ষণ কিংবা তাদের কৌশল এবং অস্ত্র বাড়ানো দরকার।

চোরাচালানিদের মোকাবিলা করতে কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণেরও পরামর্শ তাদের।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশীদ সময় সংবাদকে বলেন, মাদকবিরোধী চোরাচালান অভিযান, এটি একটি বিশেষ ধরনের অভিযান। এ অভিযানটি যখন পার্বত্য অঞ্চলের মধ্যে হচ্ছে, তখন এটির চরিত্র বদলে যাচ্ছে। সমতলে এক ধরনের অভিযান হয়, আর নদীপথে আরেক ধরনের হয়। পার্বত্য অঞ্চলে সেখানে অভিযানে যাওয়ার সময় আমাদের যে কৌশলগত দিকে আছে, সেটি আরও পর্যবেক্ষণ করতে হবে। যেন আরও সতর্কভাবে অভিযান পরিচালনা করা যায়।

মাদকের বিরদ্ধে জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নে বাস্তবমুখী উদ্যোগ নেয়ার বিকল্প নেই বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশ সময়: ১০:৫৯:৪৭   ৯১ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


ঝিনাইদহে দুই বাসের সংঘর্ষ, আহত ১৫
সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন অনু কাপুর
নোয়াখালীতে সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাটের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় চালু হচ্ছে আর্জেন্টিনার দূতাবাস
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নাসিরের ঢাকা
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার কমান্ডারসহ গ্রেফতার ৫
বাজারে আসছে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৩ সিরিজের ফোন
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু
রবীন্দ্রনাথের গল্প ও সুর মানুষকে সঠিক পথ দেখিয়েছে - খাদ্যমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালকের শ্রদ্ধা

আর্কাইভ