টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের উদ্বোধনী ম্যাচ শুরু হচ্ছে শনিবার (২২ অক্টোবর)। প্রথম ম্যাচেই হয়ে যাচ্ছে গত আসরের ফাইনালের পুনরাবৃত্তি। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে গতবারের রানার্সআপ নিউজিল্যান্ডের। তাসমান সাগরের পারে বসতে যাওয়া এবারের বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে অ্যাডিলেড, ক্ল্যারেন্স, জিলং, পার্থ, ব্রিসবেন, মেলবোর্ন ও সিডনি এই সাতটি সহরের সাত ভেন্যুতে। এক নজরে দেখে নেয়া যাক এই স্টেডিয়ামগুলোর খুঁটিনাটি।
কার্ডিনিয়া পার্ক, জিলং
অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া প্রদেশের বন্দর নগরী জিলংয়ে অবস্থিত কার্ডিনিয়া পার্ক স্টেডিয়াম। স্থানীয়রা এটিকে সাইমন্ডস স্টেডিয়াম নামে ডাকে। এই স্টেডিয়ামটি নির্মিত হয় ১৯৪১ সালে। কার্ডিনিয়া পার্ক অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় আঞ্চলিক ভেন্যুগুলোর একটি। ১৯৫২ সালের ৩০ অগাস্ট জিলং এবং কার্লটনের মধ্যকার ম্যাচে ৪৯ হাজার ১০৯ জন দর্শক উপস্থিত ছিল, যা এই স্টেডিয়ামের রেকর্ড উপস্থিতি।
বেলেরিভ ওভাল, হোবার্ট
অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া অঙ্গরাজ্যের হোবার্টে এই স্টেডিয়ামটি ১৯১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। আর ১৯১৪ সালে প্রথম ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এটিই বর্তমানে তাসমানিয়া অঙ্গরাজ্যের একমাত্র স্টেডিয়াম যেখানে নিয়মিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা আয়োজন করা হচ্ছে। প্রায় ২০ হাজার দর্শকের ধারণক্ষমতা এই স্টেডিয়ামের। ১৯৮৮ সালে নিউজিল্যান্ড-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ মাঠে গড়ায় এই স্টেডিয়ামে। ২৪ অক্টোবর বেলেরিভ ওভালেই বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচ দিয়ে শুরু করবে এবার বিশ্বকাপ অভিযান।
পার্থ স্টেডিয়াম, পার্থ
পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার বার্সউড উপকূলে অবস্থিত পার্থ স্টেডিয়াম। ২০১৭ সালের শেষের দিকে এর কাজ সমাপ্ত হয় এবং ২০১৮ সালের ২১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করা হয়। এই মাঠের ধারণক্ষমতা ৬১ হাজার ২৬৬ জন। ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর এই মাঠে অস্ট্রেলিয়া বনাম ভারতের মধ্যে প্রথম টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। একই বছরের ২৮ জানুয়ারি এই মাঠে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।
অ্যাডিলেড, ওভাল
অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড শহরের একটি বিখ্যাত মাঠ অ্যাডিলেড ওভাল। অ্যাডিলেড ওভাল স্টেডিয়াম নির্মাণ হয় ১৮৭১ সালে। এই স্টেডিয়ামে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি ক্রিকেটার স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের স্মৃতি জাদুঘর। ৫০ হাজার ধারণক্ষমতার এই স্টেডিয়ামে ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারানোর সুখস্মৃতি রয়েছে বাংলাদেশর। এবারের বিশ্বকাপের একটি সেমিফাইনালসহ মোট সাতটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই মাঠে। এই মাঠে বাংলাদেশের রয়েছে দুটি ম্যাচ। ২ নভেম্বর ভারতের ও ৬ নভেম্বর পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।
গ্যাবা, ব্রিসবেন
এই মাঠটি কুইন্সল্যান্ডে অবস্থিত। ৪২ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন স্টেডিয়ামটি ১৮৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এ স্টেডিয়ামটি গ্যাবা নামেই সর্বাধিক পরিচিত। ১৮৯৬ সালের ১৯ ডিসেম্বর পার্লামেন্ট বনাম দ্য প্রেসের মধ্যকার প্রথম-শ্রেণির ক্রিকেট খেলা এ মাঠে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৩১ সালের ২৭ নভেম্বর এ মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার প্রথম টেস্ট খেলার আয়োজন করা হয়।
মোর পার্ক, সিডনি
মোর পার্ককে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউড হিসেবেই চেনে সবাই। যা সংক্ষেপে এসসিজি নামে পরিচিত। এটি অস্টেলিয়ার ঐতিহ্যবাহী একটি স্টেডিয়াম। ১৮৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এটি। দর্শক ধারণক্ষমতা প্রায় ৪৮ হাজার। এবারের বিশ্বকাপে একটি সেমিফাইনালসহ মোট সাতটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে।
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড, মেলবোর্ন
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড বা এমসিজি বিশ্বের বড় স্টেডিয়ামগুলোর একটি। হাজারো ক্রিকেট ইতিহাসের সাক্ষী এই স্টেডিয়াম অস্ট্রেলিয়ার মোলবোর্নের ইয়ারা পার্কে অবস্থিত। মেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাব ১৮৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এই স্টেডিয়ামটি মেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাব দ্বারাই পরিচালিত হয়। এই স্টেডিয়ামে দর্শক ধারাণক্ষমতা ১ লাখের বেশি। ১৯৯২ ও ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল এই মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবারের বিশ্বকাপের ফাইনালঅ এই মাঠেই অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২:২৪:০০ ৯৭ বার পঠিত