আইনজ্ঞদের মতে ভোটের গোপন বুথে সিসি ক্যামেরা ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন : তথ্যমন্ত্রী

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » আইনজ্ঞদের মতে ভোটের গোপন বুথে সিসি ক্যামেরা ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন : তথ্যমন্ত্রী
বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২



---

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘আইনজ্ঞ এবং বিশেষজ্ঞদের মতে ভোটের গোপন বুথে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে কে কাকে ভোট দিচ্ছে তা দেখা মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন এবং গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে নির্বাচন কমিশন সেই কাজটি করে নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ করেছে।’

আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত নানা প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে আমিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক সমালোচনা দেখছি এবং বেশ কিছু অনলাইন পোর্টালও এটির সমালোচনা করে সংবাদ ও নিবন্ধ প্রকাশ করেছে, আজকেও প্রকাশিত হয়েছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমার নিজের বক্তব্য নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনগণের এবং গণমাধ্যমে সাংবাদিক ও বোদ্ধা ব্যক্তিদের অভিমত হচ্ছে- গোপনকক্ষ গোপনই এবং মানুষ গোপনেই ভোট দেবে এটি তার অধিকার। ক্যামেরা লাগিয়ে কে কোন মার্কায় কাকে ভোট দিচ্ছে সেটি যদি দেখা হয় তাহলে গোপনকক্ষ তো আর গোপন থাকলো না এবং সেটি আবার অন্যদের দেখানো হয়, তাহলে আইনজ্ঞরা বলছেন সেটি হচ্ছে ‘ইনফ্রিঞ্জমেন্ট অভ্ প্রাইভেসি’ বা ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন। সাধারণ জনগণ এবং আইনজ্ঞদের অভিমত হচ্ছে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার ওপর হস্তক্ষেপের অর্থ মৌলিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ।’

ড. হাছান বলেন, আপনারা জানেন যে, এর আগের মেয়র নির্বাচনে শামীম ওসমান সাহেব সম্ভবত কাকে ভোট দিয়েছিলেন সেটি গণমাধ্যমের সামনে দেখিয়েছিলেন। এর ফলে নির্বাচন কমিশন তাকে নোটিশ করেছে যে, আপনি এভাবে কাকে ভোট দিয়েছেন সেটি গণমাধ্যমে দেখাতে পারেন না, জনসম্মুখে দেখাতে পারেন না। যে নির্বাচন কমিশন আগে নোটিশ দিয়েছিল সেই নির্বাচন কমিশন যদি নিজেই সেটি দেখে এবং অন্যদের দেখায় তবে সেটি “ইনফ্রিঞ্জমেন্ট অভ্ প্রাইভেসি”।

ভোট কেন্দ্রে অবশ্যই সিসি ক্যামেরা থাকতে পারে, অনাকাঙ্ক্ষিত কেউ সেখানে ঢুকছে কি না বা সেখানে কোনো গণ্ডগোল বা বিশৃঙ্খলা হচ্ছে কি না সেটি দেখার জন্য অবশ্যই সিসি ক্যামেরা থাকতে পারে উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি সেটি সহায়ক মনে করে, তাহলে থাকতে কোনো বাধা নেই। কিন্তু গোপনকক্ষে ক্যামেরা লাগিয়ে কে কোন মার্কায় ভোট দিচ্ছে সেটি দেখাকে বিশেষজ্ঞরা মৌলিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ বলছেন, সেটিই আমি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।

নির্বাচনের মাঠের কর্মকর্তারা বলছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে আর শতশত মাইল দূর থেকে ক্যামেরায় ছবি দেখে নির্বাচন কমিশনের কর্তাদের মনে হয়েছে ভোট কেন্দ্রের ভেতরে অন্য লোক -এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দেখুন, আমি তো আজকে কয়েক দশক ধরে ভোট দিচ্ছি, কিন্তু ইভিএমে ভোট দেই নাই। আমারও তো জানতে হবে কিভাবে ইভিএমে ভোট দিতে হয়। গ্রামে তো মানুষ জিজ্ঞেস করে- “ভোট ক্যামনে দেবো”। তখন প্রার্থীর এজেন্ট, নির্বাচনি কর্মকর্তা যারা থাকেন, তারা বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন, ভোট দিতে সাহায্য করেন। নির্বাচন কমিশন দূরবীক্ষণের মাধ্যমে দেখেছেন। তারা কে এজেন্ট, কে কর্মকর্তা আর কে বহিরাগত, সেই সব চেহারা কিভাবে শনাক্ত করেছেন তা জানা নেই।’

বাংলাদেশ সময়: ২২:২০:২৩   ১৬৮ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


ঝিনাইদহে দুই বাসের সংঘর্ষ, আহত ১৫
সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন অনু কাপুর
নোয়াখালীতে সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাটের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় চালু হচ্ছে আর্জেন্টিনার দূতাবাস
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নাসিরের ঢাকা
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার কমান্ডারসহ গ্রেফতার ৫
বাজারে আসছে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৩ সিরিজের ফোন
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু
রবীন্দ্রনাথের গল্প ও সুর মানুষকে সঠিক পথ দেখিয়েছে - খাদ্যমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালকের শ্রদ্ধা

আর্কাইভ