উৎসাহ-উদ্দীপনায় চলছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রবারণা পূর্ণিমা

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » উৎসাহ-উদ্দীপনায় চলছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রবারণা পূর্ণিমা
রবিবার, ৯ অক্টোবর ২০২২



---

রাজধানীসহ সারা দেশে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে তাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা উদ্‌যাপন করছেন।

এ উৎসবের প্রধান আকর্ষণ হলো সন্ধ্যায় আকাশে রঙিন ফানুস ওড়ানো। এই উৎসব এবং মাসব্যাপী কঠিনচীবর দান (ভিক্ষুদের গেরুয়া রঙের বস্ত্র প্রদান অনুষ্ঠান) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার বাণীতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, গৌতম বুদ্ধ সারা জীবন একটি শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়তে শান্তি, মৈত্রী, মমতা, শান্তি ও মানবতার শাশ্বত বাণী প্রচার করেছেন।

তিনি বলেন, ‘বুদ্ধের অহিংস বাণী এবং জীবন প্রেম এখনও বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত। তার আত্মত্যাগের আদর্শ মানবতায় পরিপূর্ণ।’

আবদুল হামিদ বলেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বৌদ্ধধর্মের নির্যাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ‘চীবর’কে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পরিধেয় বস্ত্র হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কঠিনচীবর দান’কে বলা হয় শ্রেষ্ঠ দান। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অংশগ্রহণে এই ‘কঠিনচীবর দান’ উৎসব সবার মধ্যে ঐক্য, সংহতি ও সম্প্রীতি গড়ে তোলে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, হাজার বছরের বৌদ্ধ ঐতিহ্য বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে মিশে আছে। বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির গতি ত্বরান্বিত করতে সকল সম্প্রদায়ের জনগণকে নিজ নিজ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া জানান, এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই কোটি টাকার বিশেষ অনুদান দিয়েছেন। এ ছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় দেশের প্রতিটি তালিকাভুক্ত মঠে ৫০০ কেজি করে চাল বিতরণ করেছে।

সব মঠ, ধর্মীয় সংগঠনের নিজ নিজ কার্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে পূর্ণিমা। ভোরবেলা সমস্ত মঠে জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন এবং পবিত্র ত্রিপিটক থেকে পবিত্র শ্লোক উচ্চারণের মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা হয়।

ভিক্ষুদের উপবাস ভঙ্গ, গণপ্রার্থনা, রক্তদান, সংঘদান, আলোচনা, পঞ্চশীলা, আস্থাশীলা ও প্রদীপ পূজার কর্মসূচি তুলে ধরা হবে।

রাজধানীর কমলাপুরের ধর্মরাাজিক বৌদ্ধবিহার, মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহার, কালাচাঁদপুর বৌদ্ধবিহার, উত্তরা বৌদ্ধবিহার, মিরপুরের আদিবাসী বৌদ্ধমন্দির এবং আশুলিয়া বোধিজ্ঞান মৈত্রী ভাবনা কেন্দ্রে প্রধান ধর্মীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

চট্টগ্রামের নন্দনকানন বৌদ্ধমন্দির, কাতালগঞ্জ নবপতি বিহার, আগ্রাবাদ শাক্যমুনি বৌদ্ধবিহার, দেবপাহাড় পূর্ণাচর আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহার এবং মোমিন রোডে সর্বজনীন বৌদ্ধবিহারসহ বিভিন্ন মন্দিরে ধর্মীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এ ছাড়া দেশের সকল মঠে শান্তি ও সমৃদ্ধি তথা বৈশ্বিক শান্তি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।

উৎসব নির্বিঘ্নে উদ্‌যাপনের জন্য শহর ও জেলার সব মন্দির ও আশপাশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১:১৩:২৫   ১০৩ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


ঝিনাইদহে দুই বাসের সংঘর্ষ, আহত ১৫
সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন অনু কাপুর
নোয়াখালীতে সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাটের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় চালু হচ্ছে আর্জেন্টিনার দূতাবাস
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নাসিরের ঢাকা
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার কমান্ডারসহ গ্রেফতার ৫
বাজারে আসছে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৩ সিরিজের ফোন
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু
রবীন্দ্রনাথের গল্প ও সুর মানুষকে সঠিক পথ দেখিয়েছে - খাদ্যমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালকের শ্রদ্ধা

আর্কাইভ