আয়েশা (রা.)-এর ‍বর্ণনায় মহানবীর ইন্তেকাল যেমন ছিল

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » আয়েশা (রা.)-এর ‍বর্ণনায় মহানবীর ইন্তেকাল যেমন ছিল
শনিবার, ৮ অক্টোবর ২০২২



---

মৃত্যু-রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর রাসুলুল্লাহ (সা.) জিজ্ঞাসা করতেন, আমি আগামীকাল কার ঘরে থাকব। আগামীকাল কার ঘরে? এর দ্বারা তিনি আয়েশা (রা.)-এর ঘরের পালার ইচ্ছা পোষণ করতেন। সহধর্মিণীরা নবী (সা.)-কে যার ঘরে ইচ্ছা অবস্থান করার অনুমতি দিলেন। তখন নবী কারিম (সা.) আয়েশা (রা.)-এর ঘরে ছিলেন।

এমনকি তাঁর ঘরেই তিনি ইন্তেকাল করেন। আয়েশা (রা.) বলেন, নবী (সা.) আমার জন্য নির্ধারিত পালার দিন আমার ঘরে ইন্তেকাল করেন এবং আল্লাহ তাঁর রুহ কবজ করেন এ অবস্থায় যে তাঁর মাথা আমার গণ্ড ও সীনার মধ্যে ছিল এবং আমার থুথু (তাঁর থুথুর সঙ্গে) মিশ্রিত হয়ে যায়।তিনি আরো বলেন, নবী (সা.) আমার ঘরে আমার পালার দিনে এবং আমার গণ্ড ও সীনার মধ্যস্থলে থাকা অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। নবী (সা.) অসুস্থ হলে আমাদের মধ্যকার কেউ দোয়া পড়ে তাঁকে ঝাড়ফুঁক করতেন। আমি নবী (সা.)-কে ঝাড়ফুঁক করার জন্য তাঁর কাছে গেলাম। তখন তিনি তাঁর মাথা আকাশের দিকে উঠিয়ে বললেন, সুমহান বন্ধুর সঙ্গে (মিলিত হতে চাই), সুমহান বন্ধুর সঙ্গে (মিলিত হতে চাই)। এ সময় আবদুর রহমান ইবনে আবি বকর (রা.) আগমন করলেন। তাঁর হাতে মিসওয়াকের একটি তাজা ডাল ছিল। নবী (সা.) তখন সেদিকে তাকালেন। তখন আমি বুঝতে পারলাম যে তাঁর মিসওয়াকের প্রয়োজন। তখন আমি সেটি নিয়ে চিবালাম, ঝেড়ে-মুছে পরিষ্কার করলাম এবং নবী (সা.)-কে তা দিলাম। তখন তিনি এর দ্বারা এত সুন্দরভাবে দাঁত পরিষ্কার করলেন যে এর আগে কখনো এরূপ করেননি। তারপর তা আমাকে দিলেন। এরপর তাঁর হাত ঢলে পড়ল আল্লাহ তাআলা আমার থুথুকে নবী (সা.)-এর থুথুর সঙ্গে মিলিয়ে দিলেন। তাঁর এই দুনিয়ার শেষ দিনে এবং আখিরাতের প্রথম দিনে।

আয়েশা (রা.) প্রায়ই বলতেন, আমার প্রতি আল্লাহর এটা নিয়ামত যে আমার ঘরে, আমার পালার দিনে এবং আমার গণ্ড ও সিনার মধ্যে রাসুলুল্লাহর (সা.)-এর ইন্তেকাল হয়। …তাঁর সম্মুখে পাত্র অথবা পেয়ালা ছিল, তাতে পানি ছিল। নবী (সা.) নিজের দুই হাত পানির মধ্যে প্রবেশ করিয়ে তার দ্বারা তাঁর চেহারা মুছতে লাগলেন। তিনি বলছিলেন, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, সত্যিই মৃত্যু-যন্ত্রণা কঠিন। তারপর দুই হাত ওপরের দিকে উঠিয়ে বলছিলেন, আমি সুমহান বন্ধুর সঙ্গে (মিলিত হতে চাই)। এ অবস্থায় তাঁর ইন্তেকাল হলো আর হাত শিথিল হয়ে গেল।

তিনি আরো বলেন, আবু বকর (রা.) ঘোড়ার ওপর সওয়ার হয়ে তার সুনহের বাড়ি থেকে আগমন করেন। ঘোড়া থেকে অবতরণ করে তিনি মসজিদে নাববীতে প্রবেশ করেন কিন্তু কারো সঙ্গে কোনো কথা না বলে ‘আয়েশা (রা.)-এর কাছে উপস্থিত হন। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) ইয়েমেনি চাদর দ্বারা আবৃত ছিলেন। তখন তিনি চেহারা থেকে কাপড় হটিয়ে তাঁর ওপর ঝুঁকে পড়লেন এবং তাঁকে চুমু দিলেন ও কেঁদে ফেললেন। তারপর বললেন, আমার মাতা-পিতা আপনার প্রতি কোরবান হোক! আল্লাহর কসম! আল্লাহ তো আপনাকে দুবার মৃত্যু দেবেন না, যে মৃত্যু ছিল আপনার জন্য নির্ধারিত সে মৃত্যু আপনি গ্রহণ করে নিলেন।

সূত্র : সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪৪৫০-৪৪৫৩

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৩০:৪২   ১৯০ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


ঝিনাইদহে দুই বাসের সংঘর্ষ, আহত ১৫
সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন অনু কাপুর
নোয়াখালীতে সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাটের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় চালু হচ্ছে আর্জেন্টিনার দূতাবাস
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নাসিরের ঢাকা
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার কমান্ডারসহ গ্রেফতার ৫
বাজারে আসছে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৩ সিরিজের ফোন
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু
রবীন্দ্রনাথের গল্প ও সুর মানুষকে সঠিক পথ দেখিয়েছে - খাদ্যমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালকের শ্রদ্ধা

আর্কাইভ