ঝিনাইদহের তিন পৌরসভার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

প্রথম পাতা » খুলনা » ঝিনাইদহের তিন পৌরসভার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন
সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২



---

বছরের পর বছর বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় ঝিনাইদহের তিন পৌরসভার সড়কবাতির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)। এতে সন্ধ্যার পর সৃষ্টি হয় ভুতুড়ে পরিবেশ। বেড়ে গেছে চুরি-ছিনতাইর উপদ্রব। সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি পৌর বাসিন্দাদের।

দেশের পুরাতন পৌরসভার মধ্যে দ্বিতীয় ঝিনাইদহের সীমান্তবর্তী মহেশপুর পৌরসভা। ১৮৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এ পৌরসভায় প্রায় ৪০ হাজার মানুষের বসবাস। ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা বিল বকেয়া থাকায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর পৌরসভার সড়কবাতির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে ওজোপাডিকো। রাত ৮টার পর দোকানপাট বন্ধ হলে অন্ধকারে ঢেকে যায় পুরো পৌরসভা। সীমান্তবর্তী উপজেলা হওয়ায় আশঙ্কা রয়েছে চোরাচালান বৃদ্ধির। এতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ব্যবসায়ীসহ পৌর বাসিন্দারা।

একইভাবে বিল বকেয়া থাকায় কোটচাঁদপুর ও কালীগঞ্জ পৌরসভারও সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। সন্ধ্যার পর সড়কে বাতি না থাকায় এলাকায় বেড়ে গেছে চুরি-ছিনতাইর মতো অপরাধ।

খালিদুর রহমান নামে মহেশপুর পৌরসভার এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘রাত ৮টায় দোকানপাট বন্ধ হওয়ার পর পুরো পৌরসভায় অন্ধকার নেমে আসে। দোকান খোলা রেখে বাসায় গিয়ে খুব চিন্তায় থাকি। অন্ধকার হওয়ায় চুরি হওয়ার আশঙ্কা করি। খুবই সমস্যায় আছি।’

রানা আহম্মেদ নামে কোটচাঁদপুর পৌরসভার এক বাসিন্দা বলেন, ‘সন্ধ্যার পর খুবই সমস্যায় পড়ি আমরা। রাতে বাড়ি থেকে শহরে আসায় সমস্যা হয়। এমনিতেই সড়ক ভাঙা। রাতে চলতে হলে প্রায় হোঁচট খেতে হচ্ছে। সাপ-পোকার ভয়ে থাকি।’

সাধন নামে কালীগঞ্জ পৌরসভার এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমাদের তো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হচ্ছে। রাতে সিকিউরিটিবিহীন থাকে। আলো না থাকলে দোকানের নিরাপত্তা থাকে না। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত।’

ওজোপাডিকো’র দেয়া বিদ্যুৎ বিলের গরমিলের অজুহাত দেখিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করার অনুরোধ জানানোর পরও সময় দেয়া হয়নি।

মহেশপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুর রশিদ খান বলেন, ‘আমার সময় আমি ৬০ লাখ টাকার বেশি বিদ্যুৎ বিল দিয়েছি। ২টি মিটার প্রি-পেইড করেছি। তারপরও আমার এত টাকা বিদ্যুৎ বিল আসার কারণ কী। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার আগে আমরা তাদের কাছে সময় চেয়েছিলাম। তারপরও তারা সময় না দিয়ে লাইন কেটে দিয়েছে।’

এ ব্যাপারে ওজোপাডিকো ঝিনাইদহের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘মহেশপুর, কোটচাঁদপুর ও কালীগঞ্জ পৌরসভায় মোট বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আমরা বারবার তাদের তাগাদা দিয়েছি, নোটিশ করেছি, মৌখিকভাবেও বলেছি। তারপরও তারা বিল পরিশোধ করেনি; তাই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছি।’

বাংলাদেশ সময়: ১২:০০:০৫   ১৩১ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

খুলনা’র আরও খবর


ঝিনাইদহে দুই বাসের সংঘর্ষ, আহত ১৫
যশোরে ইয়াবাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক
চুয়াডাঙ্গায় ঝরছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা
বেনাপোল চেকপোস্টে সর্বোচ্চ সতর্কতা
সুন্দরবনে অপহৃত ১১ জেলে উদ্ধার
বিজয় দিবসে গল্লামারী বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শ্রম প্রতিমন্ত্রীর
মেহেরপুরে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে আলোচনা সভা
নড়াইল মুক্ত দিবস পালিত
মাগুরায় মাদক বিরোধী অভিযানকালে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ র‌্যাব সদস্যসহ নিহত ৩
যশোরে কাভার্ডভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হোটেলে বাবা-ছেলেসহ নিহত - ৫

আর্কাইভ