সীমান্তে হামলা: মিয়ানমারের এত সাহসের উৎস কোথায়?

প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক » সীমান্তে হামলা: মিয়ানমারের এত সাহসের উৎস কোথায়?
সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২



---

অভ্যুত্থান-পরবর্তী সংঘাত এবং সামরিক শাসকদের আগ্রাসি আচরণ মিয়ানমারকে পরিণত করেছে ক্রমবর্ধমান একটি বিশৃঙ্খল ও অস্থিতিশীল দেশে। তবে এ অস্থিতিশীলতা কেবল মিয়ানমারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। সেনা অভ্যুত্থানের পর ক্রমাগত এর

সম্প্রতি রাখাইনভিত্তিক বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে নতুন করে সংঘাতে জড়ানো মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ছোড়া মর্টার শেল, বিমানের গোলা পড়েছে বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে। বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙঘন করেছে মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার। ঘটেছে হতাহতের ঘটনাও। এমন পরিস্থিতিতে, গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে মিয়ানমারের জান্তাকে মোকাবিলা করা বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কথায় আছে, নিপীড়ককে মোকাবিলা করার প্রথম ধাপ হলো তাদের কৌশল বোঝার চেষ্টা করা। সেই হিসেবে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখতে মিয়ানমার ইস্যুতে এখন পর্যন্ত বাস্তববাদী আচরণই দেখিয়েছে বাংলাদেশ।

সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাসহ নানামুখী চাপে রয়েছে মিয়ানমার। সংঘাত-সহিংসতায় ডুবতে থাকা দেশটির আর্থ-সামাজিক অবস্থাও নাজুক। কিন্তু তা সত্ত্বেও বাংলাদেশ সীমান্তে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা বা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করার মতো সাহস দেখাচ্ছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। ফলে তাদের শক্তির উৎস যে অন্য কোথাও, তা সহজেই অনুমেয়।

ভূরাজনীতি

মিয়ানমারের ভৌগোলিক অবস্থানই দেশটিকে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। আঞ্চলিক পরাশক্তি ভারত ও চীন উভয়ের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে মিয়ানমারের। বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগরেও রয়েছে বিস্তৃত প্রবেশাধিকার। সমুদ্রে সরাসরি প্রবেশাধিকার ও চীনের সঙ্গে সীমান্ত থাকা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল ও কোয়াড-চীন প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রেক্ষাপটে মিয়ানমারকে বরাবরই গুরুত্ব দিয়ে আসছে বেইজিং।

ভারতের বিদ্রোহপ্রবণ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে রাখাইন রাজ্যের সীমান্ত রয়েছে। যেহেতু ভারত তার উত্তর-পূর্ব অংশে তুলনামূলকভাবে আরও স্থিতিশীলতা চায়, তাই তাদের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেছে মিয়ানমার।

বিশ্লেষকদের মতে, চীনকে মোকাবিলায় পশ্চিমারাও মিয়ানমারকে পাশে চায়। মৌখিকভাবে পিডিএফকে সমর্থন জানিয়ে জান্তার বিরুদ্ধে কিছু নিষেধাজ্ঞা দিলেও তাদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি পশ্চিমা বিশ্ব।

নিজেদের ভূ-কৌশলগত গুরুত্ব সম্পর্কে বেশ ভালোভাবেই অবগত মিয়ানমার। বিশ্লেষকদের মতে, মানবাধিকার লঙ্ঘন, হত্যা, নির্যাতন, আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করার মতো বিষয়গুলোকে পাশ কাটিয়ে বিশ্ব বা আঞ্চলিক শক্তিধর দেশগুলো মিয়ানমারে তাদের স্বার্থ উদ্ধারে গুরুত্ব দিচ্ছে। ফলে জান্তা সরকারের আগ্রাসি আচরণ দেখেও দেখছে না অনেকে। তাদের এমন নিষ্ক্রিয়তাই সাহস জোগাচ্ছে মিয়ানমারকে।

বারবার বাংলাদেশের সীমান্ত ও আকাশসীমা লঙ্ঘন করছে মিয়ানমার। কিন্তু এভাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেও পার পেয়ে যাচ্ছে তারা। ধারণা করা যায়, নিয়ম ভঙ্গের জন্য অতীতে কোনো শাস্তি না হওয়ায় এমন ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে দেশটি।

সীমান্তে উসকানির নেপথ্য

বিশ্লেষকদের ধারণা, আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নতুন করে যুদ্ধে জড়ানোর কারণ হতে পারে চীন ও রাশিয়ার সমর্থন।

প্রতিবেশীদের প্রতি দায়িত্বজ্ঞানহীন মনোভাব মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জন্য নতুন নয়। ২০১৪ সালের মে মাসে বাংলাদেশ সীমান্তে গুলি চালিয়ে একজন বিজিবি সদস্যকে হত্যা করে মিয়ানমার। এর প্রতিক্রিয়ায় সীমান্তে উসকানির জন্য মিয়ানমারের কাছে একটি প্রতিবাদপত্র পেশ করে বাংলাদেশ।

২০১৫ সালে মিয়ানমারের একটি যুদ্ধবিমান থেকে বোমা নিক্ষেপের সময় দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে চার কৃষক নিহত হন। এরপর মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে দেশটির সেনাবাহিনীর কঠোর নিন্দা জানায় চীন। মিয়ানমারের সীমান্তে টহল দেয়ার জন্য যুদ্ধবিমানও পাঠানো হয়। এরপর ভুলবশত হামলার কথা উল্লেখ করে বেইজিংয়ের কাছে ক্ষমা চায় মিয়ানমার। গত বছর থাইল্যান্ডের সঙ্গেও বিবাদে জড়ায় দেশটি।

সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চীন ও থাইল্যান্ড উভয়ের কাছে ক্ষমা চেয়েছে মিয়ানমার। কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশ সীমান্তে মর্টার শেল হামলার পর মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হলে এটিকে ‘অনিচ্ছাকৃত’ বলে উল্লেখ করলেও, ক্ষমা চাননি তিনি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের প্রতি মিয়ানমারের উসকানিমূলক আচরণের পেছনে দুটি কারণ থাকতে পারে। প্রথমত, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বিলম্ব বা প্রত্যাবাসনের সব উদ্যোগ থামাতে চায় জান্তা সরকার। দ্বিতীয়ত, নিজেদের সহিংসতার সব ঘটনা থেকে বিশ্বের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরাতে পরোক্ষভাবে বাংলাদেশকে যুদ্ধে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে মিয়ানমার।

অস্ত্র সহায়তা ও সেনা সক্ষমতা

মিয়ানমারে অস্থিরতা নতুন কিছু নয়। একাধিক সেনা অভ্যুত্থান হয়েছে দেশটিতে, অবরুদ্ধ হয়েছে গণতন্ত্র। মিয়ানমারে সংখ্যালঘুদের নিপীড়নের ইতিহাসও পুরোনো। ১৯৯০ সাল থেকে চীন, রাশিয়া ও ইউক্রেনসহ বেশ কয়েকটি দেশ মিয়ানমারকে সামরিক সহায়তা দিতে শুরু করে। ভারতকে চাপে রাখতে মিয়ানমারের কাছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বিক্রি করছে চীন।

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ডটকম থেকে জানা যায়, মিয়ানমার সেনাবাহিনীতে ৪৬ হাজার নিয়মিত এবং ১ লাখ ১০ হাজার রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে। এ ছাড়া মিয়ানমারের কাছে ১২৭টি যুদ্ধবিমানসহ মোট ২৬৪টি সামরিক বিমান, ৯টি অ্যাটাক হেলিকপ্টারসহ ৮৬টি হেলিকপ্টার, ৮৮৬টি অত্যাধুনিক ট্যাংক, ৪ হাজার ২১২টি বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র, ১ হাজার ২০০টি সাঁজোয়া সামরিক যান, অন্তত ২০০টি আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র, ৩৯২টি গান সিস্টেম, ১ হাজার ২০০ ট্যাংকবিধ্বংসী অস্ত্র, ২৭টি নৌ ফ্রিগেট ও ৪০টি টহল যানসহ ১৫৫টি যুদ্ধজাহাজ রয়েছে।

১৯৯০-এর দশক থেকে অস্ত্র সংগ্রহের দিকে মনোনিবেশ করে মিয়ানমার। নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি স্বাক্ষরের পরও অস্ত্র কেনা বন্ধ করেনি দেশটি। বিপরীতে ২০১২ সাল থেকে মিয়ানমারের জন্য অস্ত্র কেনা আরও সহজ হয়েছে। রাশিয়া, চীন, ইসরাইল, ইউক্রেন, ভারত, বেলারুশ, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, পোল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ মিয়ানমারের কাছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বিক্রি করেছে।

সামরিক সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে মিয়ানমারকে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা দিয়েছে চীন। তারা মিয়ানমারের কাছে সবচেয়ে বেশি যুদ্ধবিমান, যুদ্ধজাহাজ ও গোলাবারুদ বিক্রি করেছে। পিছিয়ে নেই রাশিয়া ও ইউক্রেনও। মিয়ানমারের কাছে ভূমি থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি করেছে রাশিয়া। ইউক্রেন যুদ্ধজাহাজ বিক্রি করেছে। অন্যদিকে ইসরাইল বিক্রি করেছে ট্যাংক ও সাঁজোয়া কর্মী বহনকারী যান।

বাংলাদেশের অবস্থান

ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ঢাকা। তবে ২০১৭ সালের মতো ঘটনা যে কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না, সে বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দেয়া হয়েছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। ঢাকায় অবস্থিত বিদেশি মিশনগুলোকেও জানানো হয়েছে যে, বাংলাদেশ আর একজন রোহিঙ্গাকেও গ্রহণ করবে না। বরং যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের দিকে নজর দেয়ার বার্তা দেয়া হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাংলাদেশের উচিত কোনো ধরনের উসকানিতে পা না দিয়ে কূটনৈতিকভাবে এগিয়ে যাওয়া। প্রতিবেশী ভারত ছাড়াও শুধু মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের স্থল সীমান্ত রয়েছে। বহু বছর ধরে ওই সীমান্তে নানা উত্তেজনা বিরাজ করছে।

২০০৭ সালে মিয়ানমারের দুটি যুদ্ধজাহাজ সেন্ট মার্টিনে প্রবেশ করে। ২০১১ সালে তারা বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে অস্ত্রসহ এক বিজিবি সদস্যকে অপহরণ করে। ২০১২, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে বান্দরবানের থানচিতে তাদের মর্টার শেল বিধ্বস্ত হয়।

এ ছাড়া ২০১৭ সাল থেকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টার ১৯ বারের বেশি বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদের মতে, মিয়ানমার সেনাবাহিনী সীমান্তে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে লড়াই করছে। এটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু কিছু গোলাবারুদ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পড়ছে। আমরা এটিকে উসকানি হিসেবেই নেব। একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশের অভ্যন্তরে তারা গুলিবর্ষণ করতে পারে না। বিষয়টি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসা উচিত। সামরিক-কূটনৈতিক তৎপরতাও চালু করা যেতে পারে।

সম্প্রতি সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধ চায় না। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চাই।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সীমান্তে যে গোলাবারুদ পড়ছে, আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী কখনোই যুদ্ধ চান না। আমরা শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই। আমরা শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘মিয়ানমার কখনোই তাদের কথা রাখে না। আমরা দ্বিপক্ষীয় এবং বহুপক্ষীয় প্রচেষ্টা করছি। আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

মিয়ানমার আগ্রাসি হলেও তাদের সামরিক কৌশল নিম্নমানের। তাদের শক্তির ভিত্তিও দুর্বল। অনেকেই বলছেন, মিয়ানমার যুদ্ধের খেলা খেলছে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে এ খেলায় অংশ নিতে চায়।

কিন্তু বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ দেশ। বাংলাদেশ কোনো দেশের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চায় না। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখাই বাংলাদেশের নীতি। কিন্তু তাই বলে বাংলাদেশকে দুর্বল ভাবার কারণ নেই। কারণ, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী এখন বিশ্বমানের। বাংলাদেশের পদাতিক বাহিনী এতটাই উন্নত যে এটি বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

বাংলাদেশ সময়: ১১:৩৪:৩৩   ৯৪ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আন্তর্জাতিক’র আরও খবর


মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু
ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা জোরদার করতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি আহ্বান ন্যাটো প্রধানের
নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল ইসরাইল
বিশ্বে করোনায় কমেছে মৃত্যু ও শনাক্ত
ইরানে ভূমিকম্পে নিহত ৩, আহত ৩ শতাধিক
পেরুতে বাস খাদে পড়ে নিহত ২৫
বিশ্বে করোনায় আরও ১০৬২ মৃত্যু, শনাক্ত বেড়েছে
কোরআন অবমাননা: সুইডেনকে সমর্থন না দেয়ার ঘোষণা তুরস্কের
ভারতের মহারাষ্ট্রে মাইক্রোবাস-ট্রাক সংঘর্ষে শিশুসহ নিহত ৯
ইউক্রেনকে ‘ভারী অস্ত্র’ সরবরাহ করতে যাচ্ছে ন্যাটো

আর্কাইভ