আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী ও মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান বলেছেন, বিএনপির নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্য করেন বলেন, আপনাদের নেত্রী পদ্মা সেতু নিয়ে বিভিন্ন উসকানিমূলক কথা বার্তা বলেছেন।

পদ্মা সেতু পাড় হওয়ার অধিকার আপনাদের নেই। তাই আপনারা পদ্মা সেতুতে উঠবেন না। ওই পদ্মার পাড়ে নৌকা রাখা হবে সেই নৌকায় আপনাদের পাড় করে দেয়া হবে। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়া নাকি মুক্তিযোদ্ধা? তিনি তখন কোথায় ছিলেন? আবার অদ্ভুত কথা বলেন, তারেক জিয়া নাকি শিশু মুক্তিযোদ্ধা? তারা উন্মাদ হয়ে গেছেন, ক্ষমতা হারিয়ে তারা পাগল হয়ে গেছেন। এই পাগল দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে না। রাষ্ট পরিচালনার দক্ষ রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনাকে আবার রাষ্ট্রের ক্ষমতার আনতে হবে। তিনি আরো বলেন, তারেক জিয়া বিদ্যুৎ না দিয়ে তারা খাম্বা বিক্রয় করেছেন।

তারেক জিয়ার খাম্বা দিয়ে বিদ্যুৎ আসে নাই। শেখ হাসিনা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছেন। বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে গরু ছালগের ঘর করেছিল। নৌপরিবহন মন্ত্রী বলেন দলকে সুসংগঠিত করতে হবে। তৃণমূল নেত্রীবৃন্দকে মূল্যায়ন করতে হবে। কারন তৃণমূলের নেতারাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রাণ। যদি তৃণমূলের নেতাকর্মী একত্রিত না হয় তাহলে বিএনপি জামায়াতের মত লেজুরবৃত্তি দল আবারো ক্ষমতায় এসে স্বাধীনতা বিরোধীদের দিয়ে বাংলাদেশের পতাকা গাড়িতে করে উড়িয়ে নিয়ে বেড়িয়ে বাংলাদেশকে আবারও কলঙ্কিত করার চেষ্টা করবে।

সমাজকল্যান মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সম্মেলনের উদ্বোধক লালমনিরহাট জেলা আ’লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন এমপি, কেন্দ্রীয় আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, কেন্দ্রীয় আ’লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমী ও জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন কালীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মিজানুর রহমান মিজু।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত ও দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এসময় অতিথিদেএ সম্মানে ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়। আসন গ্রহণ করার পর দলীয় নেতৃবৃন্দকে উত্তরীয় ও ফুলেল শুভেচ্ছা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান স্থলে উপস্থিত হয়ে অতিথিবৃন্দ শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন উপজেলার আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫৬:০০   ৯৯ বার পঠিত