`রমেক` হাসপাতালে সিন্ডিকেটে ভরপুর

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » `রমেক` হাসপাতালে সিন্ডিকেটে ভরপুর
মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২



---

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে রোগী ও তাদের স্বজনদের হয়রানির ঘটনা নিত্য দিনের। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া থেকে শুরু করে রোগীর মৃত্যুর পরও কান্নায় দিশেহারা স্বজনদের গুনতে হয় ‌‘বকশিস’ নামের উৎকোচ। বকশিস ছাড়া সেবা পাওয়াই কঠিন এ হাসপাতালে।

বকশিস না পেলে রোগীর স্বজনদের উপর চড়াও হওয়া থেকে শুরু করে মারধরের ঘটনা ঘটে প্রতিনিয়ত। এখানকার কর্মচারী, দালাল এবং বিভিন্ন পরিচয়ে দাপিয়ে বেড়ানো বকশিস সিন্ডিকেট চক্রের সদস্যদের কাছে সবাই যেন জিম্মি।

এবার হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে বকশিস দাবি করছেন চুক্তিভিত্তিক সিন্ডিকেটের কয়েকজন কর্মচারী। কয়েকদিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, সেখানে দেখা যায় তিনজন কর্মচারী এসেছেন ওই কর্মকর্তার কাছ থেকে বকশিস নিতে।

এতে বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হন চিকিৎসক এ.বি.এম রাশেদুল আমীর। তিনি রমেক হাসপাতালের অর্থোসার্জারি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট।

বকশিস চাওয়ার এ ঘটনা এবং রোগী হয়রানি প্রসঙ্গে রমেক হাসপাতালের পরিচালক বরাবর গত ১৮ সেপ্টেম্বর রোববার একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই চিকিৎসক।

সেখানে রাশেদুল আমীর অভিযোগ করেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর তার মা হৃদরোগে আক্রান্ত হলে হাসপাতালে ভর্তি করাতে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন স্বজনরা। জরুরি বিভাগে ভর্তির জন্য ২৫০ টাকা দাবি করা হয়। পরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মা পরিচয় জানতে পেরে তারা ৫০ টাকা ভর্তি বাবদ নেন। যদিও হাসপাতালে নির্ধারিত ভর্তি ফি ২৫ টাকা এবং সরকারি কর্মকর্তার মা এবং অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রী হিসাবে ভর্তি ফি না নেওয়ার কথা।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভর্তি পরবর্তী সিসিইউতে তার অসুস্থ মাকে নেওয়া হলে সেখানে জরুরি বিভাগে কর্মরত দুজন জোরপূর্বক তার ব্যক্তিগত সহকারীর কাছ থেকে ২০০ টাকা বকশিস নেন। এসময় তাদের আমার নাম পরিচয় এবং রোগী সম্পর্কে জানানো হলে তারা বলে ‘যে স্যারের মা হোক টাকা দিতে হবে’। পরবর্তীতে আমি রাতে আসার পর মায়ের শয্যা পাশে অবস্থানকালে সিসিইউতে কর্মরত ওয়ার্ড বয় পরিচয়ধারী মাসুদ আমার কাছে সরাসরি টাকা দাবি করে। এসময় আমি সেই কথাবার্তার কিছু মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করি।

রাশেদুল আমীর বলেন, এই ঘটনা আমার কাছে অত্যন্ত মানসিক পীড়াদায়ক এবং অপমানকর। যে প্রতিষ্ঠানে আমি সেবা দিয়ে যাচ্ছি, সেখানে আমি হয়রানির শিকার হচ্ছি তা সত্যি দুঃখজনক। আমি নিজে হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা হয়েও যদি হয়রানির শিকার হই, তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থা তো সহজেই অনুমেয়।

রমেক হাসপাতালের পরিচালককে ছাড়াও স্থানীয় সংসদ সদস্য, সিটি মেয়র, রমেক অধ্যক্ষ, জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার বরাবর এ অভিযোগ পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) পরিচালক ডা. শরীফুল হাসান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগকারী চিকিৎসক এবং যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি অভিযোগ সত্য হয়, তাহলে ওয়ার্ডবয় মাসুদকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:১২:৫৪   ৯৪ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


ঝিনাইদহে দুই বাসের সংঘর্ষ, আহত ১৫
সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন অনু কাপুর
নোয়াখালীতে সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাটের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় চালু হচ্ছে আর্জেন্টিনার দূতাবাস
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নাসিরের ঢাকা
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার কমান্ডারসহ গ্রেফতার ৫
বাজারে আসছে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৩ সিরিজের ফোন
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু
রবীন্দ্রনাথের গল্প ও সুর মানুষকে সঠিক পথ দেখিয়েছে - খাদ্যমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালকের শ্রদ্ধা

আর্কাইভ