সরিষাবাড়ীতে ইউপি ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি টাকা

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » সরিষাবাড়ীতে ইউপি ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি টাকা
বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২



---

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের হয়রানির শিকার অসহায় ও দুঃস্থ উপকারভোগীরা।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সূত্রে সরজমিনে গিয়ে জানা যায় উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়ন পরিষদে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় থাকা উপকারভোগীদের নতুন করে অনলাইন ডাটাবেজ তৈরি ও নিবন্ধন করা হচ্ছে।

এতে করে নিবন্ধন করতে আসা অসহায় ও দুঃস্থ উপকারভোগীদের কাছ থেকে ইন্টারনেট ও কম্পিউটার বাবদ খরচের অজুহাত দেখিয়ে বাধ্যতামূলক ৫০ হতে ১০০ টাকা নিচ্ছে উদ্যোক্তারা। যার ফলে অনেক অসহায় ও গরীব ব্যক্তিরা নিবন্ধন করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন।

ডোয়াইল ইউনিয়নের উদনাপাড়া গ্রামের দিনমজুর মোজাম্মেল হক জানান, ৫০০ টাকা রোজের কামলা বাদ দিয়ে সারাদিন ধরে বসে আছি কার্ড নিবন্ধন করতে। সকাল ৯ টায় এসেছি ,এখন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা বাজে । তবুও কার্ড নিবন্ধন শেষ হয়নি। এছাড়াও ৫০ টাকা দিতে হচ্ছে কার্ড নিবন্ধন করতে।

অপরদিকে সাতপোয়া ইউনিয়নের জমিলা বেগম নামে এক উপকারভোগী জানান, শুনছি ১০ টাকার চাল এখন ১৫ টাকায় কিনতে হবে। আবার নিবন্ধন করতে ১০০ টাকা নিচ্ছে তারা। তারপরেও সংসারের কাজকাম ফালায় রাইখা ঘন্টার পর ঘন্টা বইসা আছি পরিষদে।

এদিকে উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে উপজেলায় ১৯ হাজার ৩’শত ৯ জন খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির উপকারভোগী রয়েছে।

তন্মধ্যে সাতপোয়া ইউনিয়নে ২২৩০ জন,পোগলদিঘা ৩৭২৯ জন ডোয়াইল ৩০৩৯ জন, আওনা ২১০৭জন, পিংনা ২০৫০ জন, ভাটারা ২৩৫৮ জন,কামরাবাদ ১৩০২ জন, মহাদান ২৪৯৪ জন উপকারভোগী রয়েছে।

উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের এমন অপকৌশলী চতুরতার বাস্তবতা দেখে সচেতন মহল বলছেন, যদি প্রতিজন উপকারভোগীর কাছ থেকে ৫০ হতে ১০০ টাকা গড়ে তারা ফি নিয়ে হয়। তাহলে ১৯,৩০৯টি কার্ড থেকে প্রায় ১কোটি টাকার উপরে আয় করবে উদ্যোক্তারা। যে টাকা উপার্জন করার নেই কোন প্রশাসনিক অনুমতি ও বৈধতা।

এ ব্যাপারে উদ্যোক্তারা বলেন, প্রশাসনিকভাবে টাকা নেয়ার কোনো অনুমতি নেই। তবুও আমরা নিচ্ছি, আমাদের বেতন নেই বলে।

এদিকে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মাহবুবর তরফদার জানান ,কার্ড নিবন্ধন করতে কোন টাকা-পয়সার প্রয়োজন নেই। যারা টাকা নিচ্ছেন তারা অন্যায় করছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপমা ফারিসা বলেন, “খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির কার্ড অনলাইন নিবন্ধন করতে উদ্যোক্তারা টাকা নিচ্ছে এ বিষয়টি আমি অবগত নই। যদি তারা টাকা নিয়ে থাকে আমি চেয়ারম্যানদের বলে দিচ্ছি তারা ব্যবস্থা নিবেন।

এদিকে ইউপি চেয়ারম্যানেরা বলেন, উদ্যোক্তারা খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি কার্ড নিবন্ধন করতে টাকা নিচ্ছে এটি আমাদের জানা নেই। তবে প্রশাসনিকভাবে কোন টাকা নেয়ার দিকনির্দেশনা নেই বলে জানান তারা।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫৮:০৭   ৯১ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


ঝিনাইদহে দুই বাসের সংঘর্ষ, আহত ১৫
সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন অনু কাপুর
নোয়াখালীতে সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাটের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় চালু হচ্ছে আর্জেন্টিনার দূতাবাস
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নাসিরের ঢাকা
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার কমান্ডারসহ গ্রেফতার ৫
বাজারে আসছে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৩ সিরিজের ফোন
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু
রবীন্দ্রনাথের গল্প ও সুর মানুষকে সঠিক পথ দেখিয়েছে - খাদ্যমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালকের শ্রদ্ধা

আর্কাইভ