দক্ষিণাঞ্চলের ১০ নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » দক্ষিণাঞ্চলের ১০ নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে
বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২



---

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে বরিশাল নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দুর্ভোগে দিন কাটছে নগরবাসীর। এছাড়া অতি জোয়ারের ফলে দক্ষিণাঞ্চলের ১০ নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জানা গেছে, নগরীর বটতলা, মুন্সি গ্যারেজ, মুসলিম গোরস্থান রোড, কালিবাড়ি রোড, অক্সফোর্ড মিশন রোড ও ভাটিখানাসহ অন্তত অর্ধশতাধিক এলাকার সড়ক এখন পানির নিচে।

নগরীর ভাটিখানা এলাকার বাসিন্দা মাইনুল ইসলাম সবুজ জানান, থেমে থেমে বরিশালে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে পুরো রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। বাধা পড়ছে নিত্যদিনের কাজকর্মে।

অক্সফোর্ড মিশন এলাকার বাসিন্দা নাফিজ আহমেদ জানান, ‘একটু বৃষ্টি হলেই আমাদের এলাকার সব রাস্তা তলিয়ে যায়। এসব ভোগান্তির অবসান চাই। দ্রুত জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশন ভূমিকা নেবে আশা করছি।’

মুসলিম গোরস্থান রোড এলাকার বাসিন্দা নাজমা বেগম জানান, ‘টানা বৃষ্টি আর জলাবদ্ধতার কারণে আমরা দিশেহারা। বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যেতে পারিনি। রাস্তায় জলাবদ্ধতা আর সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে রিকশা ভাড়াও বেশি। এসবের অবসান চাই।’

ব‌রিশাল আবহাওয়া অধিদফতরের অবজারভার মাসুদুর রহমান জানান, বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপের প্রভাবে সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি হয়েছে। আর মৌসুমি বায়ু মোটামুটি সক্রিয়। নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় ১ থেকে ২ ফুট পানি বেড়েছে। এছাড়া সমুদ্রবন্দরে ৩ ও নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে।

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম সময় সংবাদকে জানান, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টির কারণে দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ১০টি নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য মতে বরিশাল নগরীসংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এ ছাড়া ভোলা খেয়াঘাটসংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার, ভোলার দৌলতখানের সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিনের সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের বুড়িশ্বর ও পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার, বরগুনার বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটার বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৮২ সেন্টিমিটার, পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ও উমেদপুরের কচা নদীর পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে নগরীজুড়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির প্রধান কারণ হিসেবে নগরীর খাল ও পুকুরগুলো দখল, দূষণ আর ভরাটকে দুষছেন পরিবেশবাদীরা।

বরিশাল বাপা সমন্বয়কারী রফিকুল আলম বলেন, ২০১০ সালের মাস্টারপ্লানে বরিশালে ৪৬টি খালের নাম পাওয়া গেলেও এখন কোনোমতে অস্তিত্ব টিকে আছে সাতটির। পাঁচ শতাধিকের স্থলে পুকুর, জলাশয় আছে শ’ খানেক। এখনো যদি যথাযথ উদ্যোগের মাধ্যমে এসব খাল ও জলাশয় সংরক্ষণ করা না যায় তাহলে বরিশাল নগরবাসীর জলাবদ্ধতা নিয়ে দুর্ভোগের শেষ হবে না। অতিদ্রুত খাল ও জলাশয়গুলো সংরক্ষণ করা দরকার।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা সব সময় কাজ করে যাচ্ছি। বরিশালে যত খাল আছে তা খননের জন্য দুই হাজার ৬০০ কোটি টাকার একটি প্রজেক্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। এটি পাস হলে জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০:৩৬:০৬   ৮৯ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


ঝিনাইদহে দুই বাসের সংঘর্ষ, আহত ১৫
সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন অনু কাপুর
নোয়াখালীতে সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাটের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় চালু হচ্ছে আর্জেন্টিনার দূতাবাস
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নাসিরের ঢাকা
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার কমান্ডারসহ গ্রেফতার ৫
বাজারে আসছে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৩ সিরিজের ফোন
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু
রবীন্দ্রনাথের গল্প ও সুর মানুষকে সঠিক পথ দেখিয়েছে - খাদ্যমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালকের শ্রদ্ধা

আর্কাইভ