বেড়েছে ডিম ও মুরগির দাম

প্রথম পাতা » কৃষি ও বাণিজ্য » বেড়েছে ডিম ও মুরগির দাম
শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২



---

এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও বেড়ে গেছে ডিম ও মুরগির দাম। কেজিপ্রতি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়, সোনালি ৩২০ টাকায় আর দেশি মুরগি ৪৬০ টাকায়।

শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) উত্তর বাড্ডা কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহ আগে যেখানে মুরগির দাম ছিল সোনালি ২৮০ টাকা ও দেশি ৪২০ টাকা, সেখানে প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ৪০ টাকা করে।

কেবল মুরগি নয়, বেড়েছে ডিমের দামও। ডিমের বাজারে স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়তে না ছাড়তেই আবারও বাড়তে শুরু করেছে ডিমের দাম। কয়েক দিন আগেও ডিমের ডজন ১২০ টাকা হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।

এ ব্যাপারে মধ্যবাড্ডা কাঁচাবাজারের ডিম ব্যবসায়ী সাঈদুর রহমান বলেন, ‘আমরা এখনো ১২৫ টাকা ডজনে বিক্রি করছি। তবে খবর পেয়েছি পাইকারি বাজারে ডিমের দাম বেড়েছে। এতে ডজন ১৩০ টাকা হবে বলে ধারণা করছি।’

মধ্যবাড্ডায় কাঁচাবাজারে আসা স্থানীয় বাসিন্দা হেদায়েত উল্লাহ বলেন, ‘ডিমের দাম ১৬০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল; একদফা কমে এখন আবার বাড়তে শুরু করেছে। বাজারে ১২৫ টাকা ডজনে ডিম মিললেও মুদির দোকানগুলোতে ডজন প্রতি ১৩০ টাকা দাম রাখা হচ্ছে।’

ডিম-মুরগির দাম বাড়লেও দাম কমেছে পেঁয়াজের এবং অপরিবর্তিত আছে মরিচের দাম। রামপুরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, কয়েক দিন আগেও ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া মরিচ এখন ৪০ টাকা কেজি। এছাড়া প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজিদরে।

পেঁয়াজের দাম নিয়ে উত্তর বাড্ডা পেঁয়াজের আড়তের দোকানদার সামাদ ব্যাপারী বলেন, ‘খুচরা কিনলে পেঁয়াজের কেজি পড়ছে ৪০ টাকা করে। কিন্তু পাল্লা (৫ কেজি) হিসেবে কিনলে পেঁয়াজের দাম দাঁড়াচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা। অনেকেই পাল্লা হিসাবে পেঁয়াজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।’

এদিকে সবজির বাজারে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে শিম। কিছুটা দাম কমলেও প্রতিকেজি শিমের দাম এখনো ১২০-১৩০ টাকা। এ ছাড়া টমেটো ১২০ টাকা, গাজর ১২৫ টাকা, বরবটি ৭০-৮০ টাকা, বেগুন ৫০-৬০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ২৫ টাকা, পটোল ৩০-৪০ টাকা ও করলা ৬০-৭০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে চিংড়ি ও ইলিশ। প্রতিকেজি বাগদা চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা ও গলদা ৮০০ টাকা কেজিদরে। এক কেজি ও এর ওপরের ইলিশের দাম কেজিপ্রতি ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অপেক্ষাকৃত ছোট সাইজের ইলিশ কেজিপ্রতি দাম হাঁকাচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা।

অন্যান্য মাছের মধ্যে মাঝারি সাইজের রুই মাছ ৩১০-৩২০ টাকা, বড় সাইজের ৪২০-৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ টাকা, পাঙাস ১৭০-১৮০ টাকা, রূপচাঁদা ৮০০- ১ হাজার ২০০ টাকা, শিং-মাগুর ৩৫০-৪০০ টাকা, পোয়া ৫৫০-৭০০ টাকা, কৈ ২২০-২৫০ টাকা, পাবদা ৪০০-৫০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।

গরু ও খাসির মাংস আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। বাজারের দোকানগুলোতে গরুর মাংসের কেজি ৬৯০-৭০০ টাকা ও গলির দোকানে ৭২০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪২:৫২   ১০১ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

কৃষি ও বাণিজ্য’র আরও খবর


বাংলাদেশে সৌরবিদ্যুৎ সেচে সহযোগিতা করবে জার্মানি
‘ভোজ্যতেল আমদানি করতে বছরে ২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়’
কম খরচে বেশি লাভ সরিষার আবাদে
জয়পুরহাটে ৫০ হেক্টর জমিতে এবার তিলের চাষ হয়েছে
কুমিল্লায় রোপা আমনের মাঠে সবুজ হাসি
ইতিহাসের এই দিনে
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে মালয়েশিয়ায় ‘সিরাহ কনফারেন্স’ অনুষ্ঠিত
দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হোক, এটা চায়নি বিএনপি সরকার: শেখ হাসিনা
৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পাচ্ছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার
বাংলাদেশের পরিস্থিতি অবগত আছি : জাপানের রাষ্ট্রদূত

আর্কাইভ